সেপ্টেম্বর ৭-৮, ২০২৫-র রাতে একটি অত্যাশ্চর্য মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হয় পৃথিবীবাসী — এক অনন্য রক্তিম চন্দ্রগ্রহণ (Blood Moon) যা গ্রহটির নানা প্রান্তে অনবদ্য ছবি তুলতে উৎসাহিত করেছে। এ সময় চাঁদ পৃথিবীর ছায়ায় ঢেকে একটি মণির মতো গাঢ় লালাভ হয়ে উঠেছিল এবং এ দৃশ্য এশিয়া, পূর্ব আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন অংশ থেকে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান ছিল, যা প্রায় ৮২ মিনিট ধরে ধরে রেখেছিল এর পূর্ণতা । সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ এই মুহূর্তে ক্যামেরায় বন্দী করেছেন রাওয়ালপিন্ডি, রোমের ক্যাপিটোলিন গল্পের মূর্তি, নিউ দিল্লির আকাশ, কাস্টলে-সন্ধিপথ আকাশসহ আরও বহু আকর্ষক অবস্থান থেকে — প্রতিটি ছবিতে লালাভ চাঁদের স্বতন্ত্র সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে ।
8 September 2025 | Pic: Collected
এই ঘটনা তখনই আরও বিশেষ হয়ে ওঠে, যখন বিজ্ঞানীরা ব্যাখ্যা করেন, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল সূর্যের রোদের নীলাভ আলোকে ছড়িয়ে দেয়, অথচ লাল আলোর তরঙ্গগুলো পিছিয়ে এসে চাঁদের উপর ছড়িয়ে পড়ে, ফলে চাঁদটি মন্দ, রক্তিমাভ রূপ ধারণ করে। বিশেষভাবে এশিয়াই ছিল সবচেয়ে অনুকূল পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্র—ভারত, চীন, জাপানসহ দেশগুলোতে তৈরি হয়েছিল দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য, যেখানে কোটি মানুষ মোবাইল নিয়ে আকাশ তাকিয়েছেন, ছবি তুলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে একে শিল্পস্বরূপের মতো উপভোগ করেছেন।
অনেকে এই মহাজাগতিক মুহূর্তটি তুলনা করেছেন বিখ্যাত চলচ্চিত্রের দৃশ্য বা Netflix-এর কোনো দুর্দান্ত দৃশ্যের মতো—তাতেও কম নয় এই প্রাকৃতিক রূপের সৌন্দর্য। পক্ষান্তরে, বিজ্ঞানপালকদের দৃষ্টিকোণ থেকেও এটি ছিল একটি মূল্যবান শিক্ষা সময়; কারণ নগ্ন চোখে নির্ভয়ে পর্যবেক্ষণ করা যায় এবং এইclipse ঘটার পর গবেষণায় উদ্যোগী হয়ায় মহাজাগতিক মেকানিক্সের নতুন পাঠ উঠে আসে ।
মূলত, এ বছর এটি ছিল দ্বিতীয় পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ; গ্রহ, চাঁদ ও সূর্য এক সারিবদ্ধ অবস্থানে এসে তৈরি করেছিল এই গভীর রক্তিম অভিজ্ঞতা, যা মানুষের কণ্ঠে “সাইকেলিরাক-স্টানিং” বা “দৃষ্টিনন্দন” ছবির মতো ছিল সেই রাতের আকাশ । তবে যদি কেউ এটি মিস করে থাকেন, তবে নতুন সূর্যের এন্ড জোড়ো এক “Blood Moon” দেখা যাবে মার্চ ২০২৬-তে—এটা নিশ্চিত করেছে নাসাসহ বিভিন্ন মহাজাগতিক সংস্থা ।