back to top

অপারেশন সিন্দুর: ভারতের জবাবি হামলায় নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস, জয়শঙ্করের সন্ত্রাসবিরোধী বার্তা

২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে ঘটে যাওয়া নির্মম সন্ত্রাসী হামলায় ২৮ জন নিরীহ পর্যটক নিহত হন, যাদের মধ্যে ২৫ জন হিন্দু, একজন নেপালি এবং একজন স্থানীয় মুসলিম ছিলেন।

Source: Soymoy News | 7 May 2025 | Pic: Collected


এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকার ৭ মে ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালায়, যার লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি। Wikipedia

ভারতীয় বাহিনী দাবি করেছে, এই অভিযানে লস্কর-ই-তৈয়বা, হিজবুল মুজাহিদিন এবং জইশ-ই-মোহাম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠনের উচ্চপদস্থ নেতাদের হত্যা করা হয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান এই হামলাকে “অযৌক্তিক আগ্রাসন” বলে অভিহিত করেছে এবং দাবি করেছে যে, এতে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৪৬ জন আহত হয়েছেন।

জয়শঙ্করের ‘সন্ত্রাসে শূন্য সহনশীলতা’ বার্তা

অপারেশন সিন্দুরের পরপরই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর সামাজিক মাধ্যমে এক বিবৃতিতে বলেন, “বিশ্বকে সন্ত্রাসবাদের প্রতি শূন্য সহনশীলতা দেখাতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “ভারত সর্বদা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবে এবং এর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধি করবে।”

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও উত্তেজনার বৃদ্ধি

পাকিস্তান এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার হুমকি দিয়েছে এবং দাবি করেছে যে, তারা পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে, যদিও ভারত এই দাবি অস্বীকার করেছে। উভয় দেশের মধ্যে সীমান্তে গোলাগুলি ও বিমান হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গুরুত্ব

এই উত্তেজনার ফলে বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহারকারী আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোতে প্রভাব পড়েছে। তিনটি ঢাকা-গামী আন্তর্জাতিক ফ্লাইট—টার্কিশ এয়ারলাইন্স, জাজিরা এয়ারওয়েজ এবং কুয়েত এয়ারওয়েজ—বিকল্প গন্তব্যে মোড় নেওয়ার জন্য বাধ্য হয়েছে। এছাড়া, দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য এই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।

অপারেশন সিন্দুর ভারতের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের প্রতিফলন। তবে, এই ধরনের সামরিক পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত উভয় পক্ষকে সংযত থাকতে উৎসাহিত করা এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজে বের করা।

- Advertisement -spot_img
Related News
- Advertisement -spot_img
Explore More
- Advertisement -spot_img