জেনেভায় শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বাণিজ্য আলোচনা, যা বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করতে পারে। চীনের ভাইস-প্রিমিয়ার হে লিফেং এবং যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টের নেতৃত্বে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উভয় পক্ষের মধ্যে বিদ্যমান ১৪৫% এবং ১২৫% হারে আরোপিত শুল্ক হ্রাসের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে, যা বিশ্ব বাণিজ্যে বড় প্রভাব ফেলেছে

Source: CNN | 10 May 2025 | Pic: Collected
এই শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা পণ্যের আমদানি ব্যাপকভাবে কমেছে, এবং চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে শুল্ক আরোপ করেছে। ফলে, উভয় দেশের অর্থনীতি এবং সাধারণ জনগণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুল্কের হার ৫০% এর নিচে নামানো না হলে বাণিজ্য স্বাভাবিক হওয়া কঠিন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি চীনা পণ্যের উপর শুল্ক ৮০% এ নামানোর প্রস্তাব দিয়েছেন, তবে চীনকে মার্কেট উন্মুক্ত করার শর্ত দিয়েছেন। এই প্রস্তাব আলোচনার একটি সম্ভাব্য অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে, যদিও চীন এখনও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরও আন্তরিক পদক্ষেপের প্রত্যাশা করছে।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এই আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে পরিবর্তন আসতে পারে। বাংলাদেশের রপ্তানি খাত, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্প, এই পরিবর্তনের ফলে নতুন সুযোগ বা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে।
জেনেভায় অনুষ্ঠিত এই আলোচনা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। যদি উভয় পক্ষ শুল্ক হ্রাসে সম্মত হয়, তবে তা বৈশ্বিক বাণিজ্যে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। তবে, আলোচনা সফল না হলে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা আরও বাড়তে পারে।