আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষে, একটি সংবেদনশীল বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে—ট্রাম্পের মাধ্যমে জেলেনস্কির কাছে জানানো হয়েছে যে পুতিন শর্ত দিয়েছিলেন যদি ইউক্রেন পূর্ণভাবে ডোনেটস্ক অঞ্চল হস্তক্ষেপ করে, তবে বাকী ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ স্থগিত করতে প্রস্তুত। সূত্রের বরাতে রইটার্স জানিয়েছে, “Putin demanded control of entire Donetsk region… freeze most front lines if Kyiv’s forces ceded all of Donetsk”।

16 August 2025 | Pic: Collected
কিন্তু জেলেনস্কি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন, কারণ এটি ইউক্রেনের সংবিধানের স্বশাসনের মূলনীতি লঙ্ঘনকারী এবং নিরাপত্তার দৃঢ় নিশ্চয়তা ছাড়া কোনও ভূখণ্ড ছাড়ার অনুমতি নেই। ট্রাম্প বৈঠকে আগের মত “সিনসার শান্তিভিত্তিক আলোচনার পরিবর্তে সম্পূর্ণ শান্তি চুক্তি” করতে চাইছেন বলে উল্লেখ করেছেন—যেখানে যুদ্ধ বিরতি না করেই ব্যাপক সমাধানের পথ অনুসরণ করা হবে । ইউক্রেনের পক্ষ থেকে অবশ্য জেলেরনস্কির প্রতি আশালীলতা বজায় রয়েছে—তিনি সোমবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছেন, এবং ইউরোপীয় মিত্রদের সমর্থন সহ থাকবে ।
ইউরোপীয় নেতারা—ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেনসহ—সুরক্ষার জোরালো নিশ্চয়তা দিতে এবং রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চাপ বাড়িয়ে যাবার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনরায় দিয়েছেন । তবে, এই আবির্ভূত পুতিনের শর্ত—বিশেষত ডোনেটস্ক ও লুহানস্ক মতো পূর্বাঞ্চলের দাবি—যা ইউক্রেনের একটি গুরুত্বপূর্ণ লাল রেখা, তা মানলে রাশিয়ার প্রভুত্ব স্বীকৃতির মতো হয়ে যায়, যা কিয়েভ এবং ইউরোপ, বিশেষ করে NATO ও EU সমর্থকদের জন্য অগ্রহণযোগ্য। ফলে এই আলাস্কা বৈঠকের ফলাফল সন্দেহাতীতভাৱে ইউক্রেনের স্বাধিকার ও সার্বভৌমত্বে চাপের একটি প্রত্যক্ষ উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে—অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক ময়দানে, যেখানে ইউক্রেনের প্রতিবল থেকে কূটনীতিক চাপে পড়া বোঝা যায়।