আইনজীবীদের মাধ্যমে স্বীকৃত খাদ্যসঙ্কট পর্যবেক্ষক, ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (IPC)–এর সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজার উত্তরাঞ্চলসহ পুরো গাজা শহরে অ্যাকিউট দুর্ভিক্ষ (Level 5) অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে—যা মানব ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংকেত। এতে অংশ, ৫০ লক্ষের বেশি মানুষ এখন ব্যাপক দারিদ্র্য, মারাত্মক কুপুষ্টি ও ক্ষুধার কারণে বিপন্ন; এবং এই সংকট আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে ।
24 August 2025 | Pic: Collected
যদিও জাতিসংঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (WFP) মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এটিকে “মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ” বলে ফেঁদেছে এবং তৎক্ষণাত শান্তি ও অবাধ মানবিক সাহায্য প্রবাহের দাবি জানিয়েছে, ইসরায়েল এ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে “পক্ষপাতমূলক” এবং “হামাস-নির্ভর” বলে অভিহিত করেছে । ইসরায়েলি সরকার বলেছে, তারা “পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ করছে” এবং ক্ষুধার দায় তারা তুলে দিয়েছে হামাস এবং জাতিসংঘের দিকে ।
এই দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি শুধু দারিদ্র্য নয়, বরং গাজার সামাজিক এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সম্পূর্ণ ফলাফল। সংযোগ বিচ্ছিন্নতা, অব্যাহত বোমাবর্ষণ, মানবিক অবরোধ ও খাদ্য উৎপাদনের অবসান—সবমিলিয়ে একটি বড় মানবিক বিপর্যয়ের সূত্রপাত হয়েছে । ফলে, অনেকে বিবৃতি দিয়ে বলছেন—ইসরায়েল একদিকে অবরোধ চালিয়ে দিচ্ছে, অন্যদিকে মানবিক দায় থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে—যা আন্তর্জাতিক আইনেও প্রশ্নবিদ্ধ। এমনকি ICC-ও গোটা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নিরীহ মানুষের ওপর সীমান্তজুড়ে “ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের” অভিযোগ তুলেছে।
আরও ভয়ংকর দিক হলো—যেখানে মানুষ খাদ্য খুঁজতে যায়, সেখানে সন্ত্রাসী হামলা ও গুলি বর্ষণ এমনকি aid distribution points–এ, ফলে ২,০০০+ সিভিলিয়ান নিহত এবং হাজারো আহত reported হয়েছে । এ ঘটনা মানবিক সংকটকে আরও গভীর রূপ দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আন্তর্জাতিক বিবেকশীল শক্তিদের তীব্র চাপ চাপিয়ে পড়েছে। মহামান্য জেনারেল সেক্রেটারি আন্তোনিও গুতেরেস “মানবিক ব্যর্থতা” বলছেন; অন্যদিকে, পৃথক রাজনৈতিক অবস্থান থেকে—মার্জরি টেলর গ্রীন ও বার্নি স্যান্ডার্স—একসঙ্গে আপাত বিপরীত রাজনৈতিক প্রান্ত থেকে গাজার জন্য দয়া দাবি করে এক বিরল ঐক্যে একমত প্রকাশ করেছেন ।
সবশেষে, এই দুর্ভিক্ষ ঘোষণা শুধুমাত্র একটি সংবাদ নয়—এটি মানবতার গতিশীলতা, আন্তরিকতা এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা কাঠামোর প্রতি দায়বদ্ধতা পরীক্ষা করছে। যদি এখন দ্রুত শান্তি, অবাধ মানবিক প্রবাহ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার হাল ধারানো না হয়, তাহলে গাজার মানুষ আরও ঘৃণিত শোষণের শিকার হয়ে মানবিক বিপর্যয়ের নিম্নলিখিত অধ্যায়ে ধাবিত হবে।