নেপাল সরকার গত ৪ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করেছে যে, ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স (পূর্বে টুইটার), ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, লিঙ্কডইনসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম আগামীকাল থেকেই বন্ধ করা হবে কারণ তারা মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধন করায় এবং কমিশন অনুযায়ী স্থানীয় প্রতিনিধিত্ব দেয়ায় ব্যর্থ হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে সরকারকে গ্রিভেন্স রিড্রেসাল সিস্টেম দেয়া, নিজস্ব নিয়ন্ত্রন স্কিম থাকা এবং সাইবার অপরাধ ও ভুল তথ্যের বিস্তার রোধ—যা নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য আবশ্যক বলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী পৃর্থ্বি সুব্বা গুরুং উল্লেখ করেছেন ।
5 September 2025 | Pic: Collected
আইনী প্রেক্ষিতে, এ নির্দেশনা এসেছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে—যেখানে বলা হয়েছে, যে কোনো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যদি নেপালে কাজ করে তাহলে অবশ্যই সেখানে নিজস্ব অফিস বা প্রতিনিধি রাখতে হবে এবং সরকারের সঙ্গে নিবন্ধিত হতে হবে। সরকার ইতিমধ্যেই টিকটক, ভাইবার, উইটক, নিম্বাজ এবং পোপো লাইভের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো সেই নিয়ম পালন করায় আবার চালু রয়েছে।
তবে এতে সাধারণ জনগণ ভোগান্তিতে—বিশেষ করে শিক্ষার্থী, উদ্যোক্তা ও গ্রামীণ মানুষ যারা ইউটিউব, লিঙ্কডইন বা ফেসবুকের মাধ্যমে শিক্ষা, কাজ ও যোগাযোগ চালাতেন । সাংবাদিক সংগঠন ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাধীনতা হরণের প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেছে এবং আইনের পুনর্বিবেচনার দাবি করেছে ।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা প্রধানত Facebook এবং YouTube–র উপর নির্ভরশীল, যেখানে ফেসবুক ব্যবহারকারীর অংশ প্রায় ৮৭% এবং ইউটিউবের প্রভাবও কম নয় । উল্লেখযোগ্য—সরকারের দেয়া নির্দেশনার পর ফোন ও ভিডিয়ো প্ল্যাটফর্ম TikTok–এ ব্যবহারের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছিল ।
সবমিলিয়ে, এই পদক্ষেপ নেপালের ডিজিটাল আইন ও স্বাধীনতার মাঝে একটি জোরালো বার্তা—“যদি নিবন্ধন করো, কাজ করো; না হলে পথে নাম!” এই নীতি বর্তমানে কার্যকর এবং দেখার বিষয় এটি কতদিন পর্যন্ত চলতে পারে, এবং পরবর্তীতে আইনে কি কোনো পরিবর্তন আনা হবে কি না।