নেপালের কাঠমান্ডুতে যখন চলছিল জেন জি বিরোধী প্রতিবাদ এবং প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি’র পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল আবহা, তখন সেদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলও অবশ্যম্ভাবীভাবে সেই সংকট থেকে দূরে ছিল না—কারণ তাদের হোটেল সংলগ্ন একটি ভবনে বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দেন; ঘটনাটি যে কতটা বিপজ্জনক ছিল, তা ফুটবলারদের আতঙ্ক থেকেই বোঝা যায়, যখন হোটেলে প্রবেশ করছিলেন প্রতিবাদকারীরা নেতা খুঁজতে, সেদিকে ফোকাস করছিলেন।
9 September 2025 | Pic: Collected
জাতীয় দলের স্ট্রাইকার সুমন রেজা কাঠমান্ডু থেকে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘হিলটন হোটেলে আগুন লাগার পর আমরা ভীত হয়ে গিয়েছিলাম, বুঝতে পারছিলাম না কখন কী ঘটবে। তখন আমরা সবাই লবিতে অপেক্ষা করছিলাম। বিক্ষোভকারীদের হোটেল কর্তৃপক্ষ জানাতে পেরেছিল, এখানে রাজনৈতিক নেতা নেই, শুধু ফুটবলার আছেন, তখন তাদের ধারণা বদলে যায় এবং আমাদের আতঙ্ক কিছুটা কমে যায়’ এবং হোটেলের পাশে রাজনৈতিক নেতার বাসায় আগুন লাগানো ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করেছেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, যেখানে তিনি কণ্ঠে ভাষ্য দিয়েছেন, ‘এখানে নিরাপদ মনে হয় না, অন্য কোথাও যাব কি না, সেই ভাবনায় ছিলাম’। ঘটনাটি প্রমাণ করে, ক্রীড়াবিদরাও ক্রমবর্ধমান রাষ্ট্রীয় অশান্তির শিকার—অবশ্যে “শান্ত বিক্ষুব্ধরা” লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও, কাউকে নেতার সঙ্গে ভুলে শনাক্ত করাই অভূতপূর্ব সংকটের চিত্র তুলে ধরে। এই ঘটনা আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিতে ফুটবলারদের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক উত্তাপের প্রেক্ষাপটে ক্রীড়া সংস্থাগুলোর সচেতনতা এবং খেলোয়াড় সুরক্ষার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তারই এক নিদর্শন।