২০২৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার রাতে, ইসরাইল সফলভাবে তাদের সর্বশেষ স্পাই স্যাটেলাইট ‘ওফেক ১৯’ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছে। এই উৎক্ষেপণটি মধ্য ইসরাইলের পালমাচিম বিমানঘাঁটি থেকে করা হয়। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্স (IDF) এবং ইসরাইল এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রির যৌথ উদ্যোগে এই স্যাটেলাইটটি তৈরি করা হয়েছে। উৎক্ষেপণের পরপরই স্যাটেলাইটটি নির্ধারিত কক্ষপথে প্রবেশ করে এবং তথ্য প্রেরণ শুরু করেছে, যা ইসরাইলের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
3 September 2025 | Pic: Collected
‘ওফেক ১৯’ একটি উচ্চ-প্রযুক্তির রাডার রিকনেসেন্স স্যাটেলাইট, যা সব ধরনের আবহাওয়ায় উচ্চ রেজুলেশনের চিত্র ধারণ করতে সক্ষম। এই স্যাটেলাইটটি ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরাইল কাৎজের ভাষায়, “এটি আমাদের শত্রুদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। যেখানেই থাকুন না কেন, আমরা আপনাকে সবসময় দেখছি।” এই মন্তব্যটি ইসরাইলের প্রতিরক্ষা নীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর একটি স্পষ্ট বার্তা প্রদান করে।
‘ওফেক’ সিরিজের স্যাটেলাইটগুলি ১৯৮৮ সাল থেকে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে আসছে। এই নতুন স্যাটেলাইটটি ইসরাইলের সামরিক নজরদারি সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করবে এবং প্রতিরক্ষা পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আন্তর্জাতিক মহলে, ইসরাইলের এই পদক্ষেপটি বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে, ইরান ও সিরিয়ার মতো প্রতিবেশী দেশগুলি এই উৎক্ষেপণকে তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে। তবে, ইসরাইলের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে যে, এই স্যাটেলাইটটি শুধুমাত্র তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যবহৃত হবে এবং এটি কোনো দেশের বিরুদ্ধে আক্রমণের উদ্দেশ্যে নয়।
মহাকাশে এই নতুন পদক্ষেপ ইসরাইলের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতার প্রতিফলন। এটি ইসরাইলের আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা নীতির অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং ভবিষ্যতে তাদের সামরিক পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।