ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন বণ্টন কিংবা সমঝোতার ভার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর ছেড়ে দিতে চায় দলটির মিত্র ও জোট। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে বিএনপির আন্দোলনে শরিক কিছু ছোট-বড় দল মনে করছেন, নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা হতে আর বেশি সময় রইল না—এই পরিস্থিতিতে “তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত” নেবেন তারেক রহমান।

4 July 2025 | Pic: Collected
পরিস্থিতি বুঝেই দলের লিয়াজন কমিটি এখন পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে মিত্রদের সঙ্গে বৈঠক করছে, যেখানে অবশ্য চূড়ান্ত আসনবিন্যাসের বিষয়টি এখনও আসেনি; তবে সাংগঠনিক ও গণসংযোগমূলক কার্যক্রমে ইতিবাচক বার্তা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, তারেকের সহকারী হিসেবে কাজ করছেন, এবং সরকার গঠনের ক্ষেত্রেও যুক্তবিধান চেয়ে জোর দিয়ে বলেছেন—“যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদেরই রাজ্য পরিচালনায় অংশ দেব।” বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক জানান, সরকার ব্যবস্থাপনায় মিত্রদের ভূমিকা রাখা হবে কিন্তু আসনের বিষয় এখনও আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়নি। শাহাদাত হোসেন সেলিম ও সুব্রত চৌধুরীসহ জাতীয় জোটের শীর্ষ নেতারা আশ্বাস দিয়েছেন—বিএনপি আসন বিনিয়োগে সম্মান দেখাবে এবং তাদের পক্ষের প্রার্থীদের ভালোভাবে আসন দেয়া হবে।
এদিকে মিত্র দলগুলো বলছেন, “নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় এখনই মৌখিক আশ্বাসে কাজ করা জরুরি”—তবে কিছু নেতার মধ্যেই বিরক্তির সুর রয়েছে কারণ বিপুল জনপ্রিয়তার বিএনপি তাদের চাপছে প্রচারণায়, অথচ আসন না পেলে ক্ষোভ শুরু হবে। লিয়াজন কমিটির ঘোষণা—যদি নির্বাচনী তফশিল অক্ষুণ্ণ থাকে, প্রত্যাশিত হিসেবে চূড়ান্ত প্রস্তাব আসবে শীঘ্রই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তারেক রহমানকে আসন নির্ধারণের পুরো দায়িত্ব দিলে শরিক দলগুলোর মনোবল বাড়বে; তবে একযোগে “তফশিল ঘোষণার পরে আলোচনার খেলা” যেহেতু শুরু হয়েছে, এতে দলগুলোর প্রস্তুতিই বেড়েছে। দীর্ঘ আলোচনার চেয়ে এখন ফলপ্রসূ কৌশল তৈরি করাটাই সবচেয়ে জরুরি।
কৌশলের অংশ হিসেবে বিএনপি ভোট পর্যবেক্ষণ, গণসংযোগ ও জয় ঘরে করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, সঙ্গে কর্তা শক্তির নিশ্চয়তার কাজ করছে। দলটি বিশ্বাস করে—নির্বাচন অবাধ এবং গ্রহণযোগ্য হবে; তবু সম্ভাব্য বাধা এড়াতে এ সময় চুক্তিভিত্তিক ও রূপরেখাযুক্ত আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। “বোঝাপড়া না হলে” মোটামুটি সংকল্পময় শরিক নেতারা বলছেন, “তারেক ও দলের নিষ্ঠার জায়গায় বিশাল আস্থা রয়েছে।”