উজবেকিস্তান ফুটবলে ইতিহাসের নতুন অধ্যায় রচিত হলো। ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছে সেন্ট্রাল এশিয়ার এই দেশটি। গত বৃহস্পতিবার আবুধাবিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে এশিয়ান গ্রুপ ‘এ’ থেকে ইরানের সঙ্গে শীর্ষ দুইয়ে থেকে সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে উজবেকিস্তান।

Source: Ittefaq | 6 June 2025 | Pic: Collected
১৯৯১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে সাতবার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অংশ নিয়েও মূল পর্বে পৌঁছাতে পারেনি উজবেকিস্তান। ২০০৬ ও ২০১৪ সালে খুব কাছাকাছি গিয়েও ব্যর্থ হয় দলটি। তবে এবার সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ইতিহাস গড়েছে তারা।
এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে কোচ তিমুর কাপাদজের নেতৃত্ব। সাবেক জাতীয় দলের খেলোয়াড় ও অলিম্পিক দলের কোচ কাপাদজে জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দলকে নতুনভাবে গড়ে তোলেন। বিশেষ করে ২১ বছর বয়সী ম্যানচেস্টার সিটির ডিফেন্ডার আব্দুকাদির খুসানভের মতো তরুণ প্রতিভাদের উঠে আসা দলের শক্তি বাড়িয়েছে।
ইউএইয়ের বিপক্ষে ম্যাচে গোলরক্ষক উতকির ইউসুপভের পারফরম্যান্স ছিল প্রশংসনীয়। দ্বিতীয়ার্ধে তাঁর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সেভ দলের জন্য ড্র নিশ্চিত করতে সহায়তা করে, যা বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট ছিল।
উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিয়য়েভ দলকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “এই সাফল্য আমাদের জাতীয় গর্ব। দলের পেশাদারিত্ব ও ঐক্য আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা।”
উজবেকিস্তানের এই সাফল্য এশিয়ার ফুটবলে নতুন শক্তির উত্থানকে নির্দেশ করে। বিশ্বকাপের বর্ধিত ৪৮ দলের ফরম্যাটে এশিয়া থেকে আরও দল অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে, যা অঞ্চলের ফুটবলের উন্নয়নে সহায়ক হবে।
উজবেকিস্তানের এই অর্জন বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল ফুটবল দেশের জন্য প্রেরণার উৎস হতে পারে। তরুণ প্রতিভা উন্নয়ন, কোচিং কাঠামো ও পেশাদার লিগের উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশও ভবিষ্যতে বিশ্বমঞ্চে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে পারে।
উজবেকিস্তানের বিশ্বকাপের মূল পর্বে প্রবেশ শুধু একটি দেশের সাফল্য নয়, এটি এশিয়ার ফুটবলে নতুন যুগের সূচনা। তাদের এই অর্জন প্রমাণ করে, সঠিক পরিকল্পনা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে যে কোনো দেশ বিশ্বমঞ্চে নিজেদের জায়গা করে নিতে পারে।