মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা তীব্র আকার নিচ্ছে, কারণ ইসরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’–এর এক সপ্তাহ পূর্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গোপনভাবে পাঠিয়েছে ৩০০টি AGM‑114 Hellfire ক্ষেপণাস্ত্র । এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছিল একটি বড় আর্মস প্যাকেজের অংশ – যা ইতিমধ্যে ফেডারেল কংগ্রেস অনুমোদন দিয়েছিল, তাই পুনরায় ঘোষণা দেয়া হয়নি ।

Source: Prothomalo | 14 June 2025 | Pic: Collected
AGM‑114 Hellfire হচ্ছে লেজার‑নির্দেশিত, অত্যন্ত নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্র—যা মাটি থেকে আকাশে থেকে বা হেলিকপ্টার, ড্রোন, ফাইটার থেকে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম । বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব ক্ষেপণাস্ত্র কমান্ড পোস্ট ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের লক্ষ্যবিদ্ধ করার জন্য প্রযোজ্য—এই অর্থে তারা “পরিসংখ্যানগতভাবে যথার্থ” যুদ্ধকালীন অস্ত্র।
ত্রুটি ছাড়াই শিপমেন্ট ঠাঁই দানের সময় কোনো সংবাদ ছাড়ে না; তবে এই ৩০০টি ‘হেলফায়ার’ প্রকাশ্যে না আনা হয়েছিল—যা একে পরোক্ষ বা ‘covert’ সরবরাহে পরিণত করেছে । হোয়াইট হাউস জানায়, তারা আগে থেকেই হামলার প্রস্তুতি ও সম্ভাবনা সম্পর্কে তথ্য পেয়ে গিয়েছিল, তবে তা “উদ্দেশ্যমূলকভাবে” গোপন রাখা হয়েছিল ।
ইসরায়েলের আকাশীয় অভিযান ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এ প্রায় ২০০টি জঙ্গি বিমান অংশ নেয় এবং ১০০+ লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালায়—যাতে ছিল পারমাণবিক কেন্দ্র, গোয়েন্দা অফিস, সামরিক গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাসিলিটিজ ।
এ সময়ই মার্কিন সামরিক বাহিনী ‘গ্রাউন্ড‑বেসড’ এয়ার ডিফেন্স দিয়ে ইরান থেকে ছোড়া প্রায় ১৫০টি ব্যালিস্টিক মিসাইল আটক করে ।
এই দৃশ্য স্পষ্ট করে দেয়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল কুশলী কূটনীতির মাঝেও নির্দিষ্ট ‘নীরব দায়ে’ একে-অন্যকে সহযোগী হিসেবে চয়ন করেছে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন “আমরা সরাসরি মদদ দিইনি” বললেও, বাস্তবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে যেহেতু ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন—এই মডেল যুদ্ধপ্রণালী শুধুমাত্র অস্ত্র চালানো নয়; এটি মার্কিন নীতি ও বিশ্বব্যাপি রাজনৈতিক বৈপ্লবিকতা পরিবর্তনের লক্ষণ। এধরনের কৌশল আন্তর্জাতিক স্বচ্ছতার প্রশ্ন তোলে এবং ‘ক্ষমতা প্রয়োগ করে শান্তি’ নীতি নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু করেছে।