আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন অভিজ্ঞ কূটনীতিকের মতো চলছে ইরান-সংঘাতের গন্ডিতে। তিনি ইরানের ওপর সামরিক পদক্ষেপের আলোচনা নিয়ে যা বলছেন, তা একটি শর্তসাপেক্ষ যুদ্ধের সম্ভাবনাকে উন্মুক্ত রাখছে। খবরের বরাতে জানা গেছে, ট্রাম্প তিনি এমন যেন ‘হুঙ্কার?’—আগামী হামলা অর্ডার দিতে পারেন তবে তার আগে ফেলতে চান নিশ্চিততার প্রিলিমিনারি শর্ত: ফোর্ডো পারমাণবিক কেন্দ্র সম্পূর্ণ ধ্বংস করা যাবে কি না ।

Source: BBC Bangla | 19 June 2025 | Pic: Collected
ট্রাম্পের অভ্যন্তরীণ পরামর্শকরা সতর্কবার্তা দিচ্ছেন—যদি মার্কিন অঞ্চলীয় অংশগ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করে, তাহলে তা হবে ‘শেষ মুহূর্তে’ এবং শর্তসাপেক্ষ। তাকে বলা হচ্ছে, “বাঙ্কার-বাস্টার” (GBU‑57) ড্রোন বোমার মতো অস্ত্র নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু—বিশেষ করে ইরানের গভীর পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর জন্য কাজে লাগানো যায় কি না—এতে সাড়া না এলেই অনুমোদন দেওয়া হবে না ।
উল্লেখযোগ্য যে, এই পর্যন্ত ট্রাম্প অনুরূপ হড়বড়ে সিদ্ধান্তে সমর্থন না দিয়ে, এমন এক কৌশলে চলছে যা সম্মিলিত আক্রমণের মাধ্যমে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের হঠাৎ মুখোমুখি সংঘাত পেছনে ঠেলে দিয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তিনি “সংঘাত চান না”, যদিও তিনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক ডেকে নিয়েছেন—এতে অংশ নিয়েছে প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা ।
ইসরায়েল ইতোমধ্যে ইরানের কয়েকটি পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় আঘাত চালিয়েছে; এই পর্যন্ত দুটি কারণেই পরিচালিত হয়েছে—বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব কোনো দূরবর্তী যুদ্ধ নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যে বিদ্যমান শক্তির প্রতিযোগিতার একটি পরিস্কার ছবি প্রকাশ করছে ।
তবে Trump উল্লেখ করেছেন, তিনি “সংঘাতের চাইতে চুক্তির বেশি পক্ষপাতী”—তিনি বলেছেন ইরান পারমাণবিক অস্ত্র অভিযান বন্ধ করে দিলে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার পথ নেবে; নয়তো “হামলা করা হবে” বলে সতর্ক করেছেন ।
ফলে বিশ্ব এখন এক সঙ্কটকর মোড়ে দাঁড়িয়েছে—যেখানে ট্রাম্প যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন শর্তযুক্তভাবে, তবে একই সাথে আলোচনার দরজাও খোলা রেখেছেন। ইরান কতটা ক্ষেপণাস্ত্র নিরস্ত করবে, জাতিসংঘ-নিরীক্ষার সঙ্গে তার অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে কিনা—এই নিয়েই এখন গোটা আন্তর্জাতিক কূটনীতির দৃষ্টি সাজানো রয়েছে।
বিশ্বের বড় বড় দেশগুলো—চীন, রাশিয়া, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স—সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছে। মার্কিন কংগ্রেসেও অনেকেই ‘যুদ্ধ-ক্ষমতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। যুক্তরাষ্ট্রের জনমতও কখনও এমন এগিয়ে যাচ্ছে না; যে কারণে ট্রাম্প যুদ্ধের পদক্ষেপে ‘দূরদর্শী’তার পরিচয় দিচ্ছেন ।
যেভাবে ঘনীভূত হচ্ছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত—ট্রাম্পের সামরিক সিদ্ধান্ত এক মুহূর্তে বিরোধী হয়ে উঠছে। এখন মূল প্রশ্ন: ‘ফোর্ডো ধ্বংস না হলে কি যোগ দেবেন?’ অথবা ‘আলোচনা দিয়ে কি পিছু হটবেন?’—এখানেই বিশ্ব অপেক্ষা করছে।
দস্তাবেজ, কূটনৈতিক চিঠিপত্র ও মিশনের সঙ্গে কথা চলতে থাকা—সব মিলিয়ে একটাই ভবিষ্যদ্বাণী: “শেষ মুহূর্তের সিদ্ধান্ত”এ সংঘাত নির্ধারিত হতে পারে বিশ্ব ইতিহাসের সবচেয়ে বিপর্যয়কর অধ্যায় হিসেবে।