যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারে বলেছিলেন তিনি হবে ‘বিশ্বে শান্তির মধ্যস্থতাকারী’। কিন্তু তার ক্ষমতার মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে ইসরায়েল ইরানে আঘাত হানলো—ট্রাম্পের সেই স্বপ্নে ভাঙন ধরল। শুক্রবার ভোরে ইসরায়েল একাধিক জায়গায় হামলা চালিয়ে পরিস্থিতিকে একেবারে নতুন করে উত্তাল করেছে—বিজ্ঞানী, কমান্ডার, পারমাণবিক কেন্দ্র–সহ নিশানা ভেঙে পড়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, “এ হামলা পুরো অঞ্চলকে বড় ধরনের যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে” ।

Source: Prothomalo | 13 June 2025 | Pic: Collected
হামলার আগে ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে বারবার অনুরোধ করছিলেন—ইরানে হামলা না চালাতে। তবে তার অনুরোধ উপেক্ষা করে নেতানিয়াহু বড় ধরনের হামলার নির্দেশ দিলেন। ট্রাম্প নিজেও সর্তক করে বলেছিলেন, “পরমাণু আলোচনাই এখন সম্ভাবনার দোরগোড়ায়।” । মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, “এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের অংশ নেই; আমরা শুধু আমেরিকান নাগরিক ও বাহিনীর সুরক্ষায় জড়িত” ।
মিডলইস্ট ইনস্টিটিউটের চার্লস লিস্টার বলেন, “যদি ইসরায়েলের বক্তব্য সত্য হয় যে এটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের শুরু, তবে এটি সংঘর্ষের সব ধারণাকে রিগ্রেস করবে।” । আর বোলটন প্রশাসন–ভূত ওবামার উপদেষ্টা ব্রেট ব্রুয়েন মন্তব্য করেন, “ট্রম্পের কূটনীতি নিহত হল; গাজায় যুদ্ধবিরতি আনতে না পারা, ইরান-নেতানিয়াহু আলোচনার পথ ভেঙে দিয়েছে।” ।
ফার্স্ট টার্মে ট্রাম্প তার জনপ্রিয় ‘আব্রাহাম চুক্তি’ এগিয়ে বিশ্বাস করলেও, দ্বিতীয় মেয়াদে এটি সক্রিয় করতে পারেননি। গাজায় আবারও যুদ্ধবিরতিই অটল মেলেনি, ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধেও অগ্রগতি হয়নি। সতর্কবার্তা দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা—“এ হামলা শুধু অগ্রাগতির নয়, অব্যাহত ঐক্য ভাঙনের কারণ হতেই পারে।”