গাজা উপত্যকায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স। এই তিন দেশের নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলকে সামরিক অভিযান বন্ধ এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা অপসারণের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা সতর্ক করেছেন, ইসরায়েল যদি এই আহ্বানে সাড়া না দেয়, তবে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা সত্তার ওপর লক্ষ্যভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।

Source: Prothom Alo | 20 May 2025 | Pic: Collected
ইসরায়েল সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় সীমিত পরিমাণে মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ-নোয়েল বারো এই সহায়তাকে “অপর্যাপ্ত” বলে অভিহিত করেছেন এবং অবিলম্বে সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
এই হুমকির জবাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, “লন্ডন, অটোয়া ও প্যারিসের নেতারা ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর চালানো জাতিগত নিধনমূলক হামলার জন্য বিশাল পুরস্কারের প্রস্তাব দিচ্ছেন। এর মাধ্যমে তাঁরা ভবিষ্যতে এমন আরও নৃশংসতাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।” তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল ন্যায়সংগত উপায়ে আত্মরক্ষা করবে, যতক্ষণ না পূর্ণ বিজয় অর্জিত হয়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে গাজায় এখন পর্যন্ত ৬১,৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া, ৩৮,০০০ শিশু এতিম হয়েছে এবং ৪৫০,০০০-এর বেশি বাসস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্সের নেতারা গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের নেতৃত্বে চলমান উদ্যোগগুলোর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তারা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের অংশ হিসেবে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা এবং নিরীহ জনগণের জীবন রক্ষা করা এখন সময়ের দাবি। বিশ্ব নেতাদের উচিত গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।