মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের আটক করা শুধু একটি সামাজিক বা মানবিক চ্যালেঞ্জ নয়, বরং এটি আজকাল একটি বিশাল বাণিজ্যিক সেক্টরে পরিণত হয়েছে। গবেষণায় পাওয়া গেছে, ১৮৬ কোটি ডলারের সরকারি বরাদ্দ রয়েছে অভিবাসন কেন্দ্র নির্মাণ এবং পরিচালনার জন্য, যেখানে CoreCivic ও GEO Group এর মতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানরা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মাধ্যমে নানা কেন্দ্র পরিচালনা করছে ।
1 September 2025 | Pic: Collected
Trumph প্রশাসনের সময় ICE-এর অধীনে বেসরকারি আটক কেন্দ্রগুলো ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। যেমন, GEO Group তার শেয়ার মূল্য দ্বিগুণ বাড়িয়েছে এবং CoreCivic ধারাবাহিকভাবে কোটি ডলার রাজস্ব রেকর্ড করছে। উদাহরণস্বরূপ, কৃষ্ণ রাত্তির একজন গবেষণায় জানানো হয়, GEO Group ও CoreCivic বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আটক রাখা অভিবাসীদের প্রায় ৯০ শতাংশ বেসরকারি হেফাজত কেন্দ্রে রাখছে ।
এই বাণিজ্যের আরও একটি দিক হলো ‘ডিপার্টেশন ফ্লাইট’, যেগুলোতে ICE ব্যক্তিদের বহন করে, এবং এ নিয়ে একটি আলাদা $৩.৬ বিলিয়নের খাত তৈরি হয়েছে; এই খাতে CSI Aviation ও Avelo ওড়ে কোটি কোটি ডলার উপার্জন করছে । এবং সর্বোপরি, সরকার ও অর্থনৈতিক নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, দফতরীয় একটি বিল $৪৫ বিলিয়ন বরাদ্দ করে প্রাইভেট কন্ট্রাক্টরদের জন্য নতুন কেন্দ্র নির্মাণ এবং সম্প্রসারণের অনুমতি দেয়, যাতে বেসরকারি আটক শিল্প ও বড় ব্যবসা আরও প্রসারিত হয়।
এই বাজারের কোনও ছাঁকনি বা নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণে, অনেক সময় এই কেন্দ্রগুলোতে মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়—দীর্ঘ সময় একা রাখা, অপর্যাপ্ত চিকিৎসা, অপর্যাপ্ত শারীরিক ও মানসিক পরিচর্যা ইত্যাদি । এমনকি কিছু কেন্দ্রের দাবিতে দাস শ্রমের মতো পরিস্থিতিও দেখা দিয়েছে, যেখানে বন্দীরা মাত্র $1 প্রতিদিন মজুরির বিনিময়ে কেন্দ্র পরিস্কার বা খাবার রান্নার কাজ করে ।
এছাড়া, আর্মির মাধ্যমে টেক্সাস মরুভূমিতে একটি বিশাল ডিটেনশন ক্যাম্প নির্মাণের $১.২ বিলিয়ন চুক্তি দেওয়া হয়, যা স্পষ্টতই ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির অংশ এবং ‘ব্যবসা হিসেবে দ্রুত কাজ করতে’—এমন এজেন্ডার সম্মোহন প্রতিফলন করছে ।
সারসংক্ষেপে, অভিবাসন আটক কেন্দ্র শুধু একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থা নয়; বরং সেখানে লক্ষ কোটি ডলারের ব্যবসা দাঁড়িয়ে আছে—যেখানে বন্দি অভিবাসীদের অধিকার সহ কারোর কথা ভাবা হচ্ছে না। এটি মানবাধিকার vs ব্যবসার সংঘর্ষ, আর এখন আমাদের সমাজ ও রাজনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।