যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় চাওয়া (Asylum) মানে হল দেশত্যাগের পেছনে যে ভয় বা নিপীড়ন রয়েছে, সেটি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হতে পারলে নিরাপত্তা পাওয়া; সেই আবেদন প্রক্রিয়া অনেক চ্যালেঞ্জিং হলেও অপরিহার্য হবে—আপনার জানতেই হবে কোন পথে আবেদন করবেন, কোন ফরম পূরণ করতে হবে, আয়েশাভোগের জন্য আপনার কী সুযোগ রয়েছে, এবং কি সময়সীমা আপনার জন্য প্রযোজ্য। প্রথমত, আপনি যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে হবে—ইথার কোনো পোর্ট-অফ-এন্ট্রি থেকে আসতে হবে।

25 August 2025 | Pic: Collected
এরপর Form I-589 (Application for Asylum and Withholding of Removal) ১ বছরের মধ্যে জমা দিতে হবে; দেরি করলে আবেদন বাতিলও হতে পারে, তবে ‘extraordinary circumstances’ থাকলে ব্যতিক্রম হতে পারে । ফাইল করার পর fingerprinting ও background check করা হয়; এরপর Asylum clock চালু হয় যা ১৫০ দিন থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে আপনি **work permit (EAD)**ের জন্য আবেদন করতে পারবেন । আবেদনের পর আপনার Asylum Merits Interview বা Immigration Court-এর সামনে বিচার হওয়া ভয়-ভিত্তিক অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ; সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপনি USA-তে থাকতে পারেন ।
অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছ্তার জন্য এটা লক্ষ্য রাখতে হবে—আশ্রয় প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশি জুডিশিয়াল সহায়তা রাষ্ট্র দেয় না; সম্পূর্ণরূপে নিজ বা NGO-নার সাহায্য প্রয়োজন ; আইনি সহায়তার অভাবে সফলতা হার মানতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে বিচারালয়ে অপেক্ষা সময় গড়ে প্রায় ৪.৫ বছর, যেখানে ICE-এর তল্লাশি এবং অপরিচিত পরিবেশ অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে। তাই আপনার আত্মরক্ষা ও মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য সমর্থন গ্রুপ ও NGO-র সাথে যোগাযোগ রাখা জরুরি।
তথ্য ও রেফারেন্সের ক্ষেত্রে, UN Refugee কনভেনশনের “non-refoulement” নীতি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র আপনাকে ফিরিয়ে দিতে পারবেনা যদি আপনি বিপদে থাকেন; কিন্তু এই আইন বাস্তবায়নে USP সেই মতো কাজ না করাও আশঙ্কার বিষয় হবে । আশ্রয় পাওয়া মানুষ কাজ করার অধিকার, সোশ্যাল সিকিউরিটি কার্ড, মেডিকেড বা সাহায্যমূলক সরকারি প্রকল্পে অংশগ্রহণ এবং ১ বছরের পর permanent residence (Green Card) আবেদন করার সুযোগ পায় ।
বর্তমানে আসামের আবেদনের পর কাজের অনুমতি (EAD) পেতে গড়ে ৬ মাস অপেক্ষা করতে হয় ; এই সময়টুকুতে অনেকের পরিবারে আর্থিক সংকট তৈরি হয়। আরেকটি নতুন ছোট পদক্ষেপ হচ্ছে—CBP One বা CBP Home অ্যাপ, যার মাধ্যমে ইউএস-মেক্সিকো সীমান্তে বৈধ আশ্রয় আবেদন করার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে; কিন্তু প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা, ভাষা সমস্যা ও নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্কও রয়েছে ।
প্রক্রিয়া দীর্ঘ হওয়ায় দুই মিলিয়নের অধিক মামলা পেন্ডিং—ফলশ্রুতিতে অনেক আবেদনকারীরা দীর্ঘ অপেক্ষা ও উদ্বেগের জটিলতায় পড়েন । আবার অনেক ক্ষেত্রে আশ্রয় আবেদন ফর্মাল ITIES ঠিক না থাকলে আবেদন বাতিল হয়ে যায়। সুতরাং লাইফ-লাইনের মতো দরকারি হচ্ছে, সময়মত পূর্ণ ফর্মালিটি, আইনগত সহায়তা ও ভয়ে ভয় দেখা থেকে বিরত থাকা।