যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, দেশের সব ধরনের ভিসাধারী, যার মধ্যে পর্যটক, গ্রিন কার্ডধারী এবং অস্থায়ী ভিসাধারীরা অন্তর্ভুক্ত, তাদের ওপর ‘অব্যাহত যাচাই-বাছাই’ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিটি বিদেশির আমেরিকায় প্রবেশ ও বসবাসের যোগ্যতা খতিয়ে দেখা হবে। যদি কোনো বিদেশি নিয়ম লঙ্ঘন করে, তাহলে তার ভিসা বাতিল করা হবে এবং তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে। স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে যে, ভিসা দেওয়ার পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে থাকা তথ্য পর্যালোচনা করা হবে। এতে ধরা হবে যেমন—অবৈধ অবস্থান, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, জননিরাপত্তার জন্য হুমকি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা বা কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনে সহায়তা দেওয়া।
23 August 2025 | Pic: Collected
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রশাসন অভিবাসন নীতি আরও কঠোর করতে চায়। ট্রাম্প প্রশাসন দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীদের বিতাড়নে নজর দিয়েছে। গত বছর গ্রিন কার্ডধারী ছিলেন ১ কোটি ২৮ লাখ এবং অস্থায়ী ভিসায় দেশের মধ্যে ছিলেন ৩৬ লাখ মানুষ। মাইগ্রেশন পলিসি ইনস্টিটিউটের অ্যামেরিকাকেন্দ্রিক অভিবাসন নীতি কর্মসূচির সহযোগী পরিচালক জুলিয়া গেলাত বলেছেন, সাড়ে ৫ কোটি মানুষকে যাচাইবাছাই করার মানে হলো অনেক মাল্টিপল এন্ট্রি পর্যটক ভিসাধারী বর্তমানে দেশের বাইরে থাকলেও, তাদের তথ্য এবং ইতিহাস খতিয়ে দেখা হবে। তিনি বলেন, এটি সরকারের জন্য যথেষ্ট ব্যয়সাপেক্ষ, তবে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ অপরিহার্য।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, এই যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার আওতায় সকল বিদেশির তথ্য নিয়মিতভাবে আপডেট করা হবে। প্রশাসন আশা করছে, এটি দেশের নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা এবং অভিবাসন ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিদেশি ভিসাধারীদের নিয়মিত যাচাইবাছাই দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি, ভবিষ্যতে কোনো অবৈধ কার্যকলাপ প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জনসাধারণকে সতর্ক থাকার এবং বিদেশি নাগরিকদের তথ্য পর্যালোচনার প্রতি সম্মিলিত সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।