Site icon ewbangla.com

ইরান সংক্রান্ত প্রতিবেদনের কারণে পেন্টাগনের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান বরখাস্ত

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের গোয়েন্দা সংস্থা ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (DIA) প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেফ্রি ক্রুজকে সম্প্রতি বরখাস্ত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়। ক্রুজের বরখাস্তের মূল কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে তার সংস্থার একটি গোপন প্রতিবেদন, যা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার উপর মার্কিন বিমান হামলার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, মার্কিন বিমান হামলাগুলি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়নি, যা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি ও প্রশাসনের প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। এই প্রতিবেদন গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়ার পর প্রশাসন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় এবং ক্রুজের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়।

23 August 2025 | Pic: Collected


ক্রুজের বরখাস্তের পর ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির ডেপুটি ডিরেক্টর ক্রিস্টিন বর্ডিনকে অস্থায়ী প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। এটি মার্কিন সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে চলমান নেতৃত্ব পরিবর্তনের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা NSA-র পরিচালক টিমোথি হফকেও বরখাস্ত করা হয়েছিল। এই ধরনের পদক্ষেপগুলো প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর উপর রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।

সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সদস্য মার্ক ওয়ার্নার এই পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “এটি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর রাজনীতিকরণ এবং পেশাদারিত্বের জন্য ক্ষতিকর। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মতপার্থক্য দেখানো কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হানিকারক।” বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ক্রুজের বরখাস্তের মতো পদক্ষেপগুলি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর স্বাধীনতা ও পেশাদারিত্বের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এ ধরনের ঘটনা জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার অভাব সৃষ্টি করতে পারে।

নতুন প্রধান হিসেবে ক্রিস্টিন বর্ডিনের নিয়োগ DIA-কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করতে পারে। তবে তার নেতৃত্বে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর স্বাধীনতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সামগ্রিকভাবে, ক্রুজের বরখাস্তের ঘটনা মার্কিন প্রশাসনের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর উপর রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা দেশের নিরাপত্তা এবং গোয়েন্দা কাজের নিরপেক্ষতা রক্ষায় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।

Exit mobile version