যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া রাজ্যের এলাবেল শহরে অবস্থিত হুন্দাইয়ের একটি বৈদ্যুতিক গাড়ি কারখানায় অভিবাসন কর্তৃপক্ষের বিশেষ অভিযানে প্রায় ৫০০ কর্মীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে অধিকাংশই দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক। এই অভিযানটি মার্কিন অভিবাসন নীতির কঠোর প্রয়োগের উদাহরণ হিসেবে ধরা হচ্ছে।

6 September 2025 | Pic: Collected
হুন্দাইয়ের কারখানায় অভিযান
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ শ্রাঙ্ক জানিয়েছেন, এই অভিযানটি অবৈধ কর্মসংস্থান এবং অন্যান্য গুরুতর অপরাধের অভিযোগে পরিচালিত হয়েছে। তিনি বলেন, “এটি কোনো সাধারণ অভিবাসনবিরোধী অভিযান নয়; এটি কয়েক মাস ধরে চলা তদন্তের অংশ।” অভিযানে প্রায় ৪৭৫ জনকে আটক করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৩০০ জন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক। আটককৃতরা বিভিন্ন কোম্পানির অধীনে কাজ করতেন, যার মধ্যে সাবকন্ট্রাক্টরও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়া উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো হিউন বলেছেন, “আমরা আশা করি মার্কিন সরকার আমাদের নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করবে।” এছাড়া, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়াংও জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
হুন্দাইয়ের প্রতিক্রিয়া
হুন্দাই মোটর কোম্পানি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ সরাসরি হুন্দাইয়ের কর্মী নন।” তারা আরও জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে নিয়োগ প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি
এই অভিযান যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অভিবাসন নীতির উদাহরণ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন অভিবাসন আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করছে এবং বেআইনি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।
ভবিষ্যৎ প্রভাব
এই ঘটনার পর হুন্দাইয়ের কারখানায় কাজ করা অন্যান্য বিদেশি কর্মীরা উদ্বিগ্ন। তারা আশঙ্কা করছেন, ভবিষ্যতে তাদেরও একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে। এই ধরনের অভিযান আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং মার্কিন শিল্পখাতে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে হুন্দাইয়ের কারখানায় অভিযান শুধু অভিবাসন নীতির কঠোর প্রয়োগ নয়, বরং আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিক্রিয়া এবং ভবিষ্যতের সম্ভাব্য অভিযানের ফলে বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে।