২০২৪ সালে বাংলাদেশি নাগরিকদের শেনজেন ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যানের হার ৫৪.৯% ছাড়িয়ে গেছে, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। শেনজেনভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশিদের ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যানের এই হার বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

Source: Ekushey TV | 21 May 2025 | Pic: Collected
২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে মোট ৩৯,৩৪৫টি শেনজেন ভিসার আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে ২০,৯৫৭টি আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়, যা মোট আবেদনের ৫৪.৯%।
প্রত্যাখ্যানের কারণসমূহ
ভিসা প্রত্যাখ্যানের পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে:
- ভুয়া বা জালিয়াতিপূর্ণ নথি জমা দেওয়া: অনেক আবেদনকারী ভুয়া ব্যাংক স্টেটমেন্ট, হোটেল বুকিং বা বিমানের টিকিট জমা দেন, যা ভিসা প্রত্যাখ্যানের প্রধান কারণ।
- অপর্যাপ্ত আর্থিক প্রমাণ: আবেদনকারীদের পর্যাপ্ত আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ না থাকলে ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়।
- ভ্রমণ বিমার অভাব: শেনজেন ভিসার জন্য বাধ্যতামূলক ভ্রমণ বিমা না থাকলে আবেদন প্রত্যাখ্যাত হতে পারে। BICAVS
সুইডেন ও ইতালির ভূমিকা
সুইডেন ও ইতালি বাংলাদেশিদের ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যানের ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে। সুইডেন ২০২৩ সালে ১১,৪১৬টি আবেদন পেয়েছিল, যার মধ্যে ৪,৭৯৩টি প্রত্যাখ্যাত হয়।
ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার জটিলতা
বাংলাদেশে শেনজেন ভিসা আবেদন কেন্দ্রের অভাবে অনেক আবেদনকারীকে ভারতে গিয়ে আবেদন করতে হয়, যা সময় ও অর্থের অপচয় ঘটায়। বাংলাদেশ সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে ঢাকায় ভিসা আবেদন কেন্দ্র স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে।
আবেদনকারীদের জন্য পরামর্শ
- সঠিক ও সম্পূর্ণ নথি জমা দিন: ভিসা আবেদন করার সময় সব নথি সঠিক ও সম্পূর্ণ হওয়া আবশ্যক।
- আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ দিন: আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও অন্যান্য আর্থিক নথি যথাযথভাবে প্রস্তুত করুন।
- ভ্রমণ বিমা করুন: শেনজেন ভিসার জন্য বাধ্যতামূলক ভ্রমণ বিমা গ্রহণ করুন।
বাংলাদেশিদের শেনজেন ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যানের হার উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আবেদনকারীদের উচিত সঠিক নথি ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আবেদন করা, যাতে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।