যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ব্যয় সবসময়ই ঋণের চাপে থাকে বলে ধরে নেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে হঠাৎ বাজেট উদ্বৃত্তে অবাক করেছে মার্কিন ট্রেজারি। মাত্র এক মাসে ২৫৮.৪ বিলিয়ন ডলারের বাজেট উদ্বৃত্ত দেখিয়েছে তারা — যা মার্কিন ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাসিক উদ্বৃত্ত!

Source: Yahoo Finance | 19 May 2025 | Pic: Collected
মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্র সরকার আয় করেছে ৮৫০.২ বিলিয়ন ডলার, যেখানে ব্যয় হয়েছে ৫৯১.৮ বিলিয়ন ডলার। ফলে মাস শেষে উদ্বৃত্ত দাঁড়ায় ২৫৮.৪ বিলিয়ন ডলার।
এই উদ্বৃত্ত মূলত এসেছে ব্যক্তিগত করদাতাদের “ট্যাক্স ফাইলিং সিজন”-এর অবদানে। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত আয়কর থেকেই এসেছে ৫৩৭ বিলিয়ন ডলার। করপোরেট ইনকাম ট্যাক্সে এসেছে ৯৪ বিলিয়ন, আর সোশ্যাল ইনস্যুরেন্স এবং অবসরভাতা বাবদ আদায় হয়েছে ১৮৪ বিলিয়ন ডলার।
যদিও আয় হয়েছে রেকর্ড পরিমাণ, খরচও ছিল যথেষ্ট। সোশ্যাল সিকিউরিটি বাবদ খরচ হয়েছে ১৩২ বিলিয়ন ডলার, সুদের পেছনে গিয়েছে ৮৯ বিলিয়ন, মেডিকেয়ারের জন্য ৮২ বিলিয়ন এবং প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় হয়েছে ৭০ বিলিয়ন ডলার।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে আরোপিত ট্যারিফের ফলে এপ্রিল মাসে শুল্ক বাবদ রাজস্ব হয়েছে ১৫.৬ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ। যদিও এই রাজস্ব এখনো অন্যান্য উৎসের তুলনায় তুলনামূলকভাবে কম।
যদিও এই মাসিক উদ্বৃত্ত আশাব্যঞ্জক, পুরো অর্থবছরের চিত্র কিন্তু এখনও নেতিবাচক। ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মোট রাজস্ব ছিল ৩.১ ট্রিলিয়ন ডলার, কিন্তু ব্যয় হয়েছে ৪.১৫৯ ট্রিলিয়ন — যার ফলে মোট বাজেট ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১.০৪৯ ট্রিলিয়ন ডলার।
বর্তমানে দেশটির জাতীয় ঋণ দাঁড়িয়েছে ৩৬.২১ ট্রিলিয়ন ডলারে, যা মার্কিন অর্থনীতির জন্য বড় উদ্বেগের কারণ।
সরকারের জন্য আয় বেশি রেখে ব্যয় কমানো কঠিন, কারণ তাদের পরিচালনা করতে হয় অসংখ্য কর্মসূচি। তবে ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এটি সহজ — আয় বেশি হলে সঞ্চয়ও বাড়ে। তাই এখনই সময় নিজের অর্থনীতি সামলে নেওয়ার, যেন ভবিষ্যতের জন্য তৈরি থাকা যায়।