back to top

করোনায় ফের প্রাণহানি, ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ২৫ জন

দেশে আবারও বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ২৫ জনের দেহে শনাক্ত হয়েছে কোভিড-১৯।

সোমবার (১৬ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতর এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ২৩১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। ফলে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮২ শতাংশ, যা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে তুলনামূলকভাবে বেশি।

এই নতুন তথ্য যুক্ত হওয়ার পর দেশে মোট করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৫৮ জনে। আর এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫০৪ জনে।

Source: Somoy TV | 17 June 2025 | Pic: Collected


স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত যে মৃত্যুর সংখ্যা সামনে এসেছে, তার বেশিরভাগই বয়স্ক এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে হয়েছে। যদিও বর্তমানে সংক্রমণের গতি পূর্বের তুলনায় অনেক ধীর, তবে মাঝে মধ্যেই শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে দেখা যাচ্ছে, যা জনমনে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই করোনাকে অবহেলা করা যাবে না। যেহেতু ভাইরাসটি বারবার রূপ পরিবর্তন করছে এবং নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে, তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

বিশেষত যেসব ব্যক্তি দীর্ঘস্থায়ী অসুখে ভুগছেন বা যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের নিয়মিত মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলা জরুরি বলে জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, করোনা প্রতিরোধে সরকারিভাবে টিকাদান কর্মসূচি এখনও চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ মানুষ পূর্ণ ডোজ টিকা পেলেও, বুস্টার ডোজ কার্যক্রম অনেক জায়গায় থেমে আছে। নতুন করে সংক্রমণ বাড়ায় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সবাইকে বুস্টার ডোজ গ্রহণে উৎসাহিত করছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু ঘটে। এরপর থেকে দীর্ঘ সময় ধরে করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ছিল দেশ। কয়েক দফা কঠোর লকডাউন, স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি, হাসপাতালের হাহাকার—সবকিছু মিলিয়ে দীর্ঘ এক সংগ্রামের পর দেশে করোনার প্রভাব অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে।

তবে নতুন করে বাড়তে থাকা শনাক্ত ও মৃত্যু ফের প্রমাণ করছে, কোভিড-১৯ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। একে সম্পূর্ণ নির্মূল করতে হলে প্রয়োজন স্বাস্থ্যসচেতনতা, তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত এবং কার্যকর সরকারি পদক্ষেপ।

- Advertisement -spot_img
Related News
- Advertisement -spot_img
Explore More
- Advertisement -spot_img