কাশ্মীরের পাহালগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ নিরীহ মানুষের মৃত্যু ভারতকে প্রতিশোধের পথে ঠেলে দেয়। অভিযুক্ত জঙ্গি গোষ্ঠীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ভারত, যার প্রতিক্রিয়ায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে।

Source: Online Report | 8 May 2025 | Pic: Collected
ভারত দাবি করেছে, তারা “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বৈধ প্রতিরক্ষা” করেছে। অন্যদিকে পাকিস্তান বলছে, এটি যুদ্ধ ঘোষণা ছাড়া কিছু নয়। ইসলামাবাদের পাল্টা অভিযানে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নিহত হয়েছেন ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক। আহতের সংখ্যা দুই দেশ মিলিয়ে শতাধিক।
এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দৃশ্যপটে এসে বলেন, “আমি দুই দেশকেই জানি, আমি চাই তারা একে অপরের সঙ্গে কাজ করুক। আমি মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত।” এ বক্তব্য বিশ্বমাধ্যমে নতুন আলোচনার জন্ম দেয়।
কিন্তু ওয়াশিংটনের বার্তা একদিকে ভারতকে সমর্থন জানালেও, অন্যদিকে দুই পক্ষকেই ‘উত্তেজনা প্রশমনের’ আহ্বান জানানোয় নয়াদিল্লিতে হতাশা তৈরি হয়েছে। ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞ তানভি মদন বলেন, “এই ধরনের বার্তা ভারতে বোঝায় যেন আমেরিকা ভারতের প্রতিক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বলছে—যেটা তারা ইসরায়েলের ক্ষেত্রে কখনো বলেনি।”
বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন, ইউক্রেন ও গাজা নিয়ে আমেরিকার ব্যস্ততা দক্ষিণ এশিয়ার এই সংকটে আগের মতো সক্রিয় হস্তক্ষেপের সুযোগ সীমিত করে ফেলেছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বেলফার সেন্টারের ফেলো এবং পাকিস্তানের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মোঈদ ইউসুফ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র না থাকলে এই উত্তেজনা কমানোর ক্ষমতা আর কারও নেই।”
এদিকে দুই দেশই চাইছে আমেরিকা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনুক। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব ফিনানশিয়াল টাইমসকে বলেন, “আমরা চাই আমাদের কৌশলগত মিত্ররা নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এগিয়ে আসুক।”