back to top

কোমির ‘৮৬৪৭’ পোস্ট: ট্রাম্প শিবিরে উত্তেজনা, সাবেক এফবিআই প্রধান বললেন, ‘এটা ছিল শুধুই মজা’

সাবেক এফবিআই পরিচালক জেমস কোমির ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সমুদ্রের বালিতে সজ্জিত ‘৮৬৪৭’ সংখ্যাটি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কিছু সমর্থক এই সংখ্যাটিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সহিংসতার আহ্বান হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।

Source: The Guardian | 20 May 2025 | Pic: Collected


সমুদ্রের বালিতে ‘৮৬৪৭’: একটি নিরীহ সন্ধ্যার গল্প

কোমি ও তাঁর স্ত্রী সমুদ্র সৈকতে হাঁটার সময় বালিতে ‘৮৬৪৭’ সংখ্যাটি খুঁজে পান। তাঁর স্ত্রী, যিনি একসময় রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন, ‘৮৬’ সংখ্যাটিকে মেনু থেকে কোনো আইটেম সরানোর সংকেত হিসেবে চিনতেন। কোমি বলেন, “আমি বললাম, ‘এটা সত্যিই চমৎকার।'” তাঁরা এই দৃশ্যের একটি ছবি তুলে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন।

রাজনৈতিক বিতর্ক ও তদন্ত

পোস্টটি প্রকাশের পর, ট্রাম্পের সমর্থকরা দাবি করেন যে ‘৮৬’ মানে ‘মেরে ফেলা’ এবং ‘৪৭’ ট্রাম্পের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হওয়াকে নির্দেশ করে। এই ব্যাখ্যার ফলে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও সিক্রেট সার্ভিস কোমির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। কোমি বলেন, “আমি শুনলাম যে মানুষ বলছে এটি কোনো ধরনের হত্যার আহ্বান, যা পাগলামি।” তিনি পোস্টটি মুছে ফেলেন এবং বলেন, “আমি কোনো ধরনের সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত হতে চাই না।”

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনা

ট্রাম্প এই পোস্টকে ইচ্ছাকৃত হুমকি হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড কোমিকে কারাগারে পাঠানোর আহ্বান জানান। কোমি এই মন্তব্যকে “উন্মাদনা” বলে অভিহিত করেন এবং বলেন, “আমি এই পোস্টে কোনো সহিংসতার বার্তা দিতে চাইনি।”

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া

‘৮৬ ৪৭’ সংখ্যাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম্প বিরোধীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই সংখ্যাটির ব্যাখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। কোমির পোস্ট এই বিতর্ককে আরও উসকে দিয়েছে।

এই ঘটনা প্রমাণ করে যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত নিরীহ ছবি বা বার্তাও রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে পারে। কোমির ‘৮৬৪৭’ পোস্ট একটি নিরীহ সন্ধ্যার স্মৃতি হলেও, তা রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে।

- Advertisement -spot_img
Related News
- Advertisement -spot_img
Explore More
- Advertisement -spot_img