ভারতের ক্রিকেট তারকা বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে ঘটে যাওয়া ভিড়ের পদপিষ্টের ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু এবং ৫৬ জনেরও বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ৪ জুন, ২০২৫ তারিখে ঘটে, যখন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (RCB) তাদের প্রথম আইপিএল শিরোপা জয়ের পর বিজয় মিছিলের আয়োজন করেছিল।

Source: Ittefaq | 8 June 2025 | Pic: Collected
সামাজিক কর্মী এইচ. এম. ভেঙ্কটেশ অভিযোগে উল্লেখ করেছেন যে, কোহলি আইপিএলের মাধ্যমে ‘জুয়া’ প্রচার করেছেন, যা বিশাল জনসমাগম সৃষ্টি করে এবং পরবর্তীতে এই বিপর্যয় ঘটায়। তিনি আরও দাবি করেছেন যে, আইপিএল ‘ক্রিকেটের খেলা নয়, বরং একটি জুয়া যা ক্রিকেটকে দূষিত করেছে’ ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে, কোহলির বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগটি ইতিমধ্যে রেজিস্টার করা মামলার অংশ হিসেবে তদন্তাধীন রয়েছে। তবে, এখনও পর্যন্ত কোহলির বিরুদ্ধে কোনো ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট (FIR) দায়ের করা হয়নি ।
এই ঘটনায় বেঙ্গালুরু পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ডিএনএ এন্টারটেইনমেন্ট এবং কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (KSCA)-এর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে ‘হত্যার চেষ্টা’ এবং ‘পাবলিক সেফটি লঙ্ঘন’ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ।
সামাজিক মাধ্যমে ‘#ArrestViratKohli’ হ্যাশট্যাগটি ট্রেন্ডিং হয়েছে, যেখানে নেটিজেনরা কোহলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। কিছু ব্যবহারকারী মনে করছেন যে, কোহলি এবং তার সতীর্থরা যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করে দ্রুত লন্ডনে চলে গেছেন, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে ।
এই ঘটনাটি শুধু একটি খেলাধুলার দুর্ঘটনা নয়, বরং জনসমাগমের নিরাপত্তা এবং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের গুরুত্বের উপর একটি বড় প্রশ্ন চিহ্ন। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, জনসমাগমের সময় সঠিক পরিকল্পনা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।