ইরান–ইসরায়েল সংঘাতে তীব্র উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে, সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি স্ত্রী শক্তি ও রাজনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষায় সংকটকালীন ব্যবস্থা নিয়েেছেন। “The New York Times” ও Economic Times–এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৮৬ বছর বয়সী খামেনি ইতিমধ্যেই তিনজন উচ্চপদস্থ ক্লিরিককে তার সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী হিসেবে নির্ধারণ করেছেন । এছাড়া তিনি যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সামরিক কমান্ডের বিকল্প নেতৃত্ব নিয়েও ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন ।

Source: The Economic Times | 22 June 2025 | Pic: Collected
তিনি বর্তমানে নিরাপত্তার কারণে তেহরানের নিচে একটি গুপ্ত স্থানে (‘বাঙ্কার’) অবস্থান করছেন এবং কেবল একজন বিশ্বাসযোগ্য সহযোগীর মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করছেন । এতে ইঙ্গিত যে, খামেনি নিজের মৃত্যুর সম্ভাব্য ঘটনা বিবেচনায় রেখে রাষ্ট্র এবং ট্যুৰ্নিং ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে উদ্যোগ নিয়েছেন।
ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, সুপ্রিম লিডার মৃত্যুবরণ করলে বা ক্ষমতা হারালে Assembly of Experts–এর ৮৮ জন মুসলিম উলামা কর্মকর্তা/আল্লামাদের মাধ্যমে দ্রুত পরবর্তী নেতা নির্বাচিত হবে । এদের মধ্য থেকে খামেনি যেসব সুপারিশ করেছেন—তিনজন থেকেই পরবর্তী নেতা নির্বাচিত হবেন আশা করা হচ্ছে।
চমকপ্রদ বিষয়, এই তালিকায় খামেনির ছেলে মজতবা খামেনি–র নাম নেই, যা নির্দেশ করে কিশোরিত্বে ক্ষমতা হস্তান্তরে আচার পালনের ইঙ্গিত ঘটছে । বিগত সময়ে মজতবাসম্ভাব্য উত্তরাধিকারী হিসেবে বিবেচিত হলেও, এই পদক্ষেপ তার প্রাসঙ্গিকতা নতুনভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিকল্পনা একটি গণতান্ত্রিক বা ধারাবাহিক উত্তরাধিকার নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা হিসাবে দেখা হচ্ছে; একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার টুকরো না হওয়া, ‘নিরাপত্তা রক্ষায় সতর্ক অবস্থা’ ও রাজনৈতিক পতনেরোধে প্রস্তুতি হিসেবেও একে মূল্যায়ন করা হচ্ছে ।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে “খামেনি সহজে টার্গেট করা যায়”—যদিও সে সিদ্ধান্ত এখনো নেয়া হয়নি । ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয্রায়েল কাতজ বলেছেন, খামেনিকে জীবন্ত থাকতে দেয়া যায় না । এসব উচ্চ স্তরের হুঁশিয়ারি এবং হামলায় খামেনির জীবন ঝুঁকির মুখে পড়েছে—এসব কারণেই অনুমেয় তিনি উত্তরাধিকার পরিকল্পনায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন।