ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, রোহিত শর্মা ইতিমধ্যেই তার ব্যাটিং ফর্ম ও শারীরিক চাপ সামলাতে সমস্যায় ভুগছেন। তাই বোর্ড চাইছে তাকে ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে কেবল টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে মনোযোগ দিতে দিতে। ফলে ওয়ানডেতে নতুন একজন অধিনায়কের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সম্ভাব্য নতুন অধিনায়ক হিসেবে শীর্ষে আছেন হার্দিক পান্ডিয়া ও কেএল রাহুল। হার্দিক টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং তার অভিজ্ঞতা রয়েছে, অন্যদিকে কেএল রাহুলও একাধিক সিরিজে দায়িত্ব সামলেছেন। এছাড়াও তরুণ শক্তি হিসেবে শুভমান গিলকেও ভবিষ্যতের জন্য বিবেচনা করছে বোর্ড। বিসিসিআইয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত খুব শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।
8 September 2025 | Pic: Collected
ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে রোহিত শর্মার অবদান অনস্বীকার্য। তার নেতৃত্বে ভারত একাধিক বড় টুর্নামেন্টে সফলতা পেয়েছে। তবে ক্রিকেট বোর্ড মনে করছে, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার জন্য নতুন নেতৃত্ব গড়ে তোলা এখন জরুরি। বিশেষ করে ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তরুণদের নেতৃত্বে সুযোগ করে দিতে চায় তারা।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়ানডেতে নতুন অধিনায়ক আসা ভারতের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এতে দলে নতুন কৌশল, নতুন উদ্যম ও ভিন্ন ধরণের নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা যুক্ত হবে। তবে সমর্থকদের একটি অংশ রোহিত শর্মার নেতৃত্ব সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট। তাদের মতে, রোহিত এখনো যথেষ্ট অভিজ্ঞ এবং তার নেতৃত্বে ভারত বড় বড় টুর্নামেন্টে শক্তিশালী পারফরম্যান্স করেছে।
অন্যদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই ক্রিকেটপ্রেমীরা নানা প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন। অনেকেই হার্দিক পান্ডিয়াকে অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চান, আবার অনেকে মনে করছেন কেএল রাহুল অভিজ্ঞতার দিক থেকে এগিয়ে। শুভমান গিলকে নিয়েও ভক্তদের মধ্যে আশাবাদ রয়েছে, কারণ তিনি তরুণ এবং ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে সবার নজর কেড়েছেন।
উল্লেখযোগ্য যে, রোহিত শর্মা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে বিসিসিআইয়ের আসন্ন ঘোষণার পর বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্রিকেট বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতীয় দলের এই সিদ্ধান্ত আগামী কয়েক বছরের ক্রিকেট কাঠামোকে বদলে দেবে।