ইসরায়েল গাজা উপত্যকার সম্পূর্ণ দখল ও হামাসকে নির্মূলের লক্ষ্যে একটি নতুন সামরিক পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এই পরিকল্পনায় গাজার বেসামরিক জনগণকে দক্ষিণে সরিয়ে নেওয়া এবং মানবিক সহায়তা সরবরাহে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে।

Source: Somoy News | 6th May 2025 | Pic: Collected
এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং মানবিক সংকট আরও গভীর হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে স্থায়ীভাবে অবস্থান করবে, যা পূর্বের অস্থায়ী অভিযানের কৌশল থেকে ভিন্ন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “এই অভিযান হবে ‘গম্ভীর’ এবং গাজার জনগণকে তাদের ‘নিজেদের সুরক্ষার জন্য’ সরিয়ে নেওয়া হবে।” The Guardian
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এয়াল জামির জানিয়েছেন, “এই সপ্তাহে আমরা আমাদের রিজার্ভ বাহিনীর হাজার হাজার সদস্যকে ডেকে পাঠাচ্ছি, যাতে গাজায় আমাদের অভিযান আরও তীব্র ও বিস্তৃত করা যায়।” New York Post
এই পরিকল্পনায় গাজার মানবিক সহায়তা সরবরাহের দায়িত্ব আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পরিবর্তে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যা জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবিক সংস্থাগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েছে। নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের মহাসচিব জান এগেল্যান্ড বলেছেন, “এই পরিকল্পনা মানবিক নীতিমালার পরিপন্থী এবং এটি মানবিক সহায়তাকে সামরিকীকরণ ও রাজনীতিকরণ করে।”
এই সামরিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের পর শুরু হতে পারে, যা হামাসের সঙ্গে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।
গাজায় চলমান সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৫২,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। এই নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে মানবিক সংকট আরও তীব্র হতে পারে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ আরও বাড়তে পারে।