গাজা উপত্যকা বর্তমানে এক অভূতপূর্ব মানবিক সংকটের মুখোমুখি, যেখানে খাদ্য, পানি ও ওষুধের চরম ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কিছু কর্মকর্তার গোপন বিশ্লেষণে উঠে এসেছে যে, অবরোধ অব্যাহত থাকলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গাজায় ব্যাপক দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। এই সতর্কবার্তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

Source: New York Times | 14 May 2025 | Pic: Collected
তিনজন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার মতে, গাজায় মানবিক পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে। তারা জানান, যদি অবরোধ অব্যাহত থাকে, তবে গাজার অনেক এলাকায় ন্যূনতম পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। এই কর্মকর্তারা তাদের কমান্ডারদের সতর্ক করেছেন যে, অবিলম্বে সাহায্য সরবরাহ পুনরায় শুরু না করলে দুর্ভিক্ষ অনিবার্য।
জাতিসংঘের মানবিক প্রধান টম ফ্লেচার ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত সাহায্য পরিকল্পনাকে “নির্মম ও অমানবিক” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে এবং এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে।
ইসরায়েল সরকার আন্তর্জাতিক সমালোচনাকে “পক্ষপাতদুষ্ট ও অগভীর” বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা দাবি করেছে, তারা গাজায় সাহায্য প্রবাহ বাড়িয়েছে এবং হামাস এই সাহায্য অপব্যবহার করছে। তবে, মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজায় খাদ্য ও ওষুধের প্রবাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।
গাজায় অধিকাংশ বেকারি বন্ধ হয়ে গেছে, দাতব্য রান্নাঘরগুলো বন্ধ হওয়ার পথে, এবং জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি তাদের খাদ্য মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে। একজন ৭১ বছর বয়সী গাজাবাসী বলেন, “আজ আমি শুধু কিছু পুরনো ফাভা বিন খেয়েছি। আমি এত দুর্বল যে হাঁটতেও পারি না।”