back to top

চট্টগ্রাম-নারায়ণগঞ্জে প্রতিরক্ষা শিল্প: বন্ধুত্বের নতুন পর্ব শুরু তুরস্ক-বাংলাদেশের

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডিএ) প্রতিরক্ষা শিল্পে কৌশলগত উন্নয়ন ও স্বতন্ত্রতা অর্জনের লক্ষ্যে তুর্কি প্রতিরক্ষা সংস্থার সঙ্গে হাত মেলাতে চলেছে, খবর প্রকাশ করেছে ইকোনমিক টাইমস। পরিকল্পনা অনুসারে, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জে দু’টি প্রতিরক্ষা শিল্প কমপ্লেক্স গড়ে উঠবে—এখানে ডোমেস্টিক উৎপাদন ও রপ্তানির সুবিধা উভয়ই থাকবে।

6 July 2025 | Pic: Collected


আগামী ৮ জুলাই তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থা (SSB)–এর প্রধান হালুক গরগুন ঢাকায় আসতে চলেছেন। তিনি বাংলাদেশে দিনব্যাপী সফরে আন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, সেনা-পথপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম. নাজমুল হাসান ও বিমান বাহিনী প্রধান এ চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খানের সাথে বৈঠক করবেন । এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা সম্প্রসারণে গতি যোগাবে।

এর আগে, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন তুরস্ক সফর করেন এবং সেখানে Makine ve Kimya Endustrisi (MKE) কারখানা পরিদর্শন করেন। ছিলেন “গোপন ব্রিফিং”—যার কেন্দ্রবিন্দু ছিল আর্তিলারি, পোর্টেবল অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার জ্ঞান । এছাড়া, বাংলাদেশের বিমান ও মহাকাশ প্রযুক্তিতে তুরস্কের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় ।

বাংলাদেশের Forces Goal 2030 পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় প্রতিরক্ষা শিল্প খাতে দেশটিতে স্ব-সম্পদ উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তা তীব্র—এক্ষেত্রে তুর্কি প্রযুক্তি ও কো-প্রোডাকশন ব্যবস্থা রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের মধ্যে এক “নিজস্ব নিরাপত্তা নীতির অগ্রণী পদক্ষেপ” হিসেবে দেখা হচ্ছে ।

তবে নতুন প্রতিরক্ষা জোন গঠনের ফলে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর প্রতিক্রিয়া মনোযোগ আকর্ষণ করে—বিশেষ করে ভারতের প্রতিরক্ষা জোগান ক্ষেত্র নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশে চীন-তুরস্ক-অন্যান্য নন-পশ্চিমা সরবরাহ বেশ আগে থেকেই সক্রিয় তাই––এই নতুন জোট ভারতীয় কৌশলের দৃষ্টিতে বিষম প্রতিযোগিতার ইঙ্গিত বহন করছে ।


সম্ভব প্রভাব ও দিক নির্দেশনা:

  • প্রযুক্তি স্থানান্তর ও স্থানীয় দক্ষতা: চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জ কমপ্লেক্সে তুর্কি প্রতিরক্ষা অবকাঠামো তৈরি হলে নতুন জনসংখ্যায় কর্মসংস্থান ও দক্ষতা তৈরির সুযোগ তৈরি হবে।
  • অর্থনৈতিক–রপ্তানি বৃদ্ধি: প্রতিরক্ষা খাতে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের রপ্তানি সুযোগ-বিস্তারে সাহায্য করবে, বিশেষ করে বায়রাক্টার ড্রোন, হাউইৎজার ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনে।
  • রাজনৈতিক প্রভাব – কূটনীতি: এই ধরণের উদ্যোগ ঢাকার পক্ষ থেকে ‘স্বাধীন নীতিনির্ভরতা’ চিহ্নিত করে—যা ভারত–চীন–পাকিস্তানের কৌশলগত লেনদেনে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।

বাংলাদেশ–তুরস্ক সম্পর্ক একটি ‘মডার্ন প্রতিরক্ষা অংশীদারিতা’ হিসেবে বিকাশিত হচ্ছে—যেখানে সামরিক প্রযু‌ক্তি স্থানান্তর, অন্তর্বর্তী কমপ্লেক্স ও স্বনির্ভর প্রস্তুতি গুরুত্ব পাচ্ছে। তবে এভাবে প্রভাব বিস্তার দীর্ঘমেয়াদি সমন্বয়ে—কৌশলগত নিরাপত্তায় স্থানীয় ও প্রতিবেশী স্বার্থকে তুলনায় গুরুত্ব দিতে হবে বাংলাদেশের।

- Advertisement -spot_img
Related News
- Advertisement -spot_img
Explore More
- Advertisement -spot_img