ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ফাইনালে ৫-০ গোলের জয় পেল কোনো দল, যা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের সর্বোচ্চ গোল ব্যবধানের রেকর্ড। এমন নজিরবিহীন পারফরম্যান্স পিএসজি-কে এক লাফে ইউরোপের ফুটবলের শীর্ষে বসিয়েছে। লুইস এনরিকের ছক কেবল সফলই নয়, তা বিধ্বংসী ছিল।

Source: USA Today | 1 June 2025 | Pic: Collected
পিএসজির এই জয়ের মূল নায়ক মাত্র ১৯ বছর বয়সী মিডফিল্ডার ডেজিরে ডুয়ে। তিনি ম্যাচে দুটি গোল ও একটি অ্যাসিস্ট করে ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ নির্বাচিত হন। তার ঝলমলে পারফরম্যান্স দেখিয়ে দিল, ফুটবল কেবল অভিজ্ঞতার নয়—তরুণদের দাপটেরও।
তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে গোল করেছেন আচরাফ হাকিমি, খভিচা কভারাটস্কেলিয়া এবং সেনি মায়ুলু। পুরো ম্যাচজুড়ে পিএসজি প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগই দেয়নি।
মেসি, নেইমার ও এমবাপ্পের পরবর্তী যুগে পিএসজির এই জয় প্রমাণ করল, তারকার চেয়ে বড় দল। কোচ লুইস এনরিক একটি নতুন প্রজন্মের, আত্মবিশ্বাসী ও কৌশলী দল তৈরি করেছেন। তার দলীয় কৌশল এবং পজিশনিং এমন নিখুঁত ছিল যে ইন্টার মিলান যেন ছায়ার মতো মাঠে ঘুরে বেড়িয়েছে।
২০১১ সালে কাতার স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্টের অধীনে পিএসজি-র পুনর্গঠন শুরু হয়েছিল। গত এক দশকে €২.৩ বিলিয়নের বেশি বিনিয়োগ করা হয় ক্লাব অবকাঠামো, খেলোয়াড় এবং কোচিংয়ে। এই শিরোপা সেই বিনিয়োগের বহুল প্রতীক্ষিত ফল। এটি কাতারি মালিকদের কাছে শুধু ব্যবসার সাফল্য নয়, আবেগের জয়ও।
ফাইনাল হুইসেল বাজতেই পিএসজি সমর্থকরা নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়েন। কেউ চুম্বন করেন ঘাসে, কেউ গোলপোস্টে চড়ে বসেন। এমন এক আবেগঘন মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছে ইউরোপের ফুটবল।
পিএসজির জন্য এই জয় শুধু একটি গন্তব্য নয়, এটি একটি নতুন যাত্রার শুরু। তরুণ তারকা, চৌকস কোচ, এবং পরিণত দৃষ্টিভঙ্গির মিশেলে পিএসজি এখন ইউরোপীয় ফুটবলের এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি।