back to top

জামায়াত কি কী বোঝাতে চাইছে? হঠাৎ পরিবর্তিত অবস্থানের রহস্য

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাম্প্রতিক সময়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি স্বভাবহীনভাবে কঠোর সুর গ্রহণ করেছে। তবে হঠাৎ বৈঠক থেকে দূরে সরে গিয়ে আবারও একই সরকারকে সহযোগিতার ঘোষণা করেছে। এই অস্বাভাবিক মোড় কেন, তা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে ।

প্রসঙ্গনীতি: জুনে লন্ডনে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পর জামায়াত বহুল আলোচিত ‘জয়েন্ট স্টেটমেন্ট’ না প্রকাশ করেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়। দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, এটি ছিল ‘প্রতীকী প্রতিবাদ’—কারণ, একদলীয় সহযোগিতার ফলে সরকারের নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।

Source: BBC Bangla | 19 June 2025 | Pic: Collected


তবে ১৭ জুন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ে হঠাৎ করে জামায়াত আবার আলোচনায় ফেরে। তিনি জানান, ফোনে প্রধান উপদেষ্টার নিকট থেকে ‘নিরপেক্ষতার আশ্বাস’ পেয়েছে দল। এই আশ্বাস তাদের সুস্থ বিশ্বাসে আলোচনায় যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করেছে ।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক সালাহউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর মন্তব্য করেছেন, “এই অবস্থান পরিবর্তন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে জামায়াতের দূরত্ব তৈরি হওয়ার প্রমাণ দেয়। তবে এটি বৃহৎ বিরোধিতায় পরিণত হয়নি—তিনি আরও বলেন, “বিএনপির সঙ্গেই এর দূরত্ব বেশি উদ্বেগজনক”। তার মতে, জামায়াত এই পরিবর্তনকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে, যার মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে তারা সরকারের নিরপেক্ষতার বিষয়টিকে সামনে আনছে।

এই অনিশ্চয়ের মাঝে, রাজনৈতিক অঙ্গনে ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্ন উঠছে—জামায়াত কি কার্যত সরকারের মনস্থায়ী হিসাবে মুক্ত অভিনয় দেখাতে চায়, নাকি এটি রাজনৈতিক প্রতীকী প্রতিবাদেরই এক কৌশল? এছাড়াও, এতে সরকারের প্রতিপক্ষ বিএনপি-জামায়াত একাত্মতা কতটা হামাগুড়ে নিচ্ছে, তাও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

বৈশ্বিক ও জাতীয় প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, জামায়াত যেমন আন্তর্জাতিক জাতীয় ঐক্যমত্য প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে, তেমনি সরকারের নিরপেক্ষতা, নির্বাচন, বিচার প্রভৃতি ইস্যুতে তাদের অবস্থান একশালা হতে পারে। একই সাথে বিএনপি-জামায়াত ঐক্য রক্ষার জন্যে প্রধান উপদেষ্টার ভূমিকা কতটা স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ, সেটিই এখন রাজনৈতিক প্রশ্ন ।

জামায়াতের এই অবস্থানপূর্বসূরি পরিবর্তন তাদের রাজনৈতিক কৌশলের অংশ বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিচার, নির্বাচন, ও সরকারী বিশ্বাসযোগ্যতা—এই তিনটি محورেই রাজনৈতিক ডানা ঘুরছে এই ইশতেহার। তবে এখনো অজানা, তৎকালীন রাজনীতি ও নির্বাচন—কোন পথে এই দলটি এগোবে?

- Advertisement -spot_img
Related News
- Advertisement -spot_img
Explore More
- Advertisement -spot_img