দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ মঙ্গলবার (২ জুন) একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন, যার মাধ্যমে তারা সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সামরিক শাসনের ছায়া কাটিয়ে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার আশা করছেন। নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দেশের গণতান্ত্রিক চেতনার প্রতিফলন।

Source: Reuters | 3 June 2025 | Pic: Collected
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়ল সামরিক শাসন জারি করেন, যা দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা। এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাপক জনবিক্ষোভ ও রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়। পার্লামেন্টে ৩০০ সদস্যের মধ্যে ২০৪ জন ইউনের বিরুদ্ধে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন, যার ফলে তিনি পদচ্যুত হন।
এই নির্বাচনে প্রধান দুই প্রার্থী ছিলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির লি জে-মিয়ং এবং কনজারভেটিভ পিপল পাওয়ার পার্টির কিম মুন-সু। লি জে-মিয়ং তার সমাজকল্যাণমূলক নীতিমালা ও মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের জনগণের জন্য সমর্থন প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করেন। অন্যদিকে, কিম মুন-সু অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির ওপর জোর দেন।

ভোটারদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য ছিল, যা দেশের গণতান্ত্রিক চেতনার প্রতিফলন। ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে অংশগ্রহণ করেছেন।
নতুন প্রেসিডেন্টের সামনে রয়েছে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং চীনের সঙ্গে কৌশলগত ভারসাম্য রক্ষা করা নতুন প্রশাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে।