back to top

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ছাড়া নির্বাচনে যাবে না এনসিপি: নাহিদ ইসলামের স্পষ্ট বার্তা

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। শুক্রবার (৬ জুন) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের রোডম্যাপ ঘোষণার পরপরই গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।

Source: Ittefaq | 7 June 2025 | Pic: Collected


নাহিদ ইসলাম বলেন, “আগে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। জনমতের ভিত্তিতে মৌলিক সংস্কারগুলো সম্পন্ন করে জুলাই সনদ প্রণয়ন করলে নির্বাচনে এনসিপির কোনো দ্বিমত নেই।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “কয়েকটি দলের চাপ প্রয়োগের কারণেই প্রধান উপদেষ্টা এই সম্ভাব্য রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন। সব ধরনের নির্বাচনী আশঙ্কা বা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার জন্য একটা সম্ভাব্য রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে।”

এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনও প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম, ‘জুলাই সনদ’ ও ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’-এর আনুষ্ঠানিকতা শেষে নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য আসবে। তারপরও যদি ঘোষিত সময়সীমার মধ্যেই এসব বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।”

এনসিপি শুরু থেকেই জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। দলটি নির্বাচন কমিশনের বর্তমান কাঠামোকে অবৈধ ও ফ্যাসিবাদী সরকার প্রণীত আইন অনুযায়ী গঠিত বলে উল্লেখ করেছে এবং কমিশনের ওপর আস্থা রাখা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে।

এনসিপির এই অবস্থান দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যেখানে বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছে, সেখানে এনসিপি নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন ও মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দিয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য কমিশনের পুনর্গঠন ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এনসিপির এই সিদ্ধান্ত দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করে। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি।

- Advertisement -spot_img
Related News
- Advertisement -spot_img
Explore More
- Advertisement -spot_img