সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গায়িকা ডুয়া লিপার একটি ছবি পোস্টে ❤️ ইমোজি দিয়ে মন্তব্য করেন র্যাপার বাদশা, আর এরই জবাবে বলেন, “তার সঙ্গে গান নয়, বরং আমি চাই তার সন্তানের বাবা হতে।” এ মন্তব্য শুধু মজা হিসেবে নেয়নি কেউ কেউ—তবে এই ইঙ্গিতই ক্যাপচার করে নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার নজর।

Source: The Guardian | 8 June 2025 | Pic: Collected
বদলে যাওয়া প্রশ্ন—ঈদে বাদশার প্রেম ইঙ্গিত? একজন ভক্ত জিজ্ঞেস করেন, “ডুয়া লিপার সঙ্গে নতুন কোনো গান করছেন কি?” উত্তরে বাদশার রিপ্লাই: “গানের চেয়ে, আমি চাই ওর সন্তানের বাবা হতে।” উপস্থাপন করেছে বিষয়টিকে—পরিপূর্ণ ‘বাবা হতে চাই’ মন্তব্যের রূপে, যা মৃদু বিশৃঙ্খলাতেও রূপ নেয় নেটিজেনদের মাঝে।
কিছু নেটিজেন হাস্যরসের প্রতিক্রিয়া দিলেও অনেকে সমালোচনা করেন, মন্তব্যটিকে “অপমান” বা “চিক্বর্ষণা” হিসেবে বর্ণনা করেছেন । একজন লিখেছেন, “একজন মহিলার পূর্ব–সম্পর্ক বেছে নিয়েছে বলেই বাবার ব্যাপারে মন্তব্য করা অনুচিত।” তুলনা করেছেন—যে “মেয়েকে সন্তানের মা বানানোর ইচ্ছে” মিশ্র হয়ে গেছে “প্রাইভেসি লঙ্ঘন” এবং “অনাঘ্রাণিক মন্তব্য” হিসেবে।
তবে সমর্থকরা বলেছেন, “বাদশার ভালোবাসা প্রকাশ, এতে ক্ষতি নাই—তারা একে ‘বাবা-ভাগ্য’ হিসাবেই দেখেছেন।” এসব মন্তব্যে দেওয়া হয়েছে প্রেমের উন্মাদনা বা শরীরী আকাঙ্ক্ষার চোখে।
বাদশার ব্যক্তিগত জীবন জড়েও সংবাদ আলোচনায় এসেছে—চার বছর আগে তিনি বিচ্ছেদ করেন জ্যাসমিন ম্যাসির সঙ্গে । বিচ্ছেদের পেছনে ব্যক্তিগত অসুরক্ষা ও সন্তানের কল্যাণ বিবেচনা করা হয়। পরে তাঁর সম্পর্কে জড়িয়ে ওঠে বলিউড অভিনেত্রী ইশা রিখির নাম, যদিও বিয়ের খবর হয়নি।
রিলে সাম্প্রতিক মজা-মীমেই হচ্ছে—“ডুয়ার সঙ্গে সন্তানের বাবা হতে চাওয়া”—তা আসলে প্রেম, না ক্যারিশমা, না এক আলোড়নের বিশ্লেষণ?
এই মন্তব্য ঘিরে সোশ্যাল এম্বিওউন্স নতুন ভাবে জমেছে—ছবি, ভিডিও, Memoji দিয়ে সেলিব্রেশন গ্রাফিকসহ। অনেকেই বলছেন, “এটি শাহিক বা সেলিব্রিটি প্রেম বিষয়ের ‘হালকা-বিষয়’”—কিন্তু অনেকে বলছেন, “আজকের #MeToo যুগে এ ধরনের মন্তব্য প্রাইভেসি লঙ্ঘন হিসেবে দেখে নেয়া বোধগম্য।”
এদিকে, বাদশা ভবিষ্যতে কীভাবে এই মন্তব্যের প্রভাব সামলাবেন—সে দিকে সকলেই দেখছেন।
বাদশার “ডুয়া লিপার সন্তানের বাবা হতে চাই” মন্তব্য শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ার একটি মজা নয়—it’s stirring conversations about celebrity culture, consent, and public boundaries in modern fan–star interactions.
এখন প্রশ্ন রইল—এটি শুধু মজার ছলে বলা মন্তব্য, নাকি পরিণতিতে বেড়ে উঠবে কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্কের হাবাহাবি?