ভারতের সাম্প্রতিক ‘Operation Sindoor’–এর পর পাকিস্তানের সাথে সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ায় আন্তর্জাতিক কূটনীতি বিশ্লেষকদের কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কূটনৈতিক আরম্ভ। যদিও ভারতে সেনা পদক্ষেপ প্রশংসিত হচ্ছে, তার পরেও বিশ্ব মঞ্চে স্থিতিশীলতা ও সমর্থন পাওয়া Modi‑র কূটনীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

Source: Prothomalo | 13 June 2025 | Pic: Collected
বিয়ান দৃষ্টান্ত হিসেবে বলা যায়, পাকিস্তানের সাথে সংঘাতে ভারতের সেনাবাহিনী সফল হলেও ক্ষেত্রের বাইরে কূটনীতিতে “Diplomatic setback” হয়েছে—যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে একটি শীর্ষ স্তরের মার্কিন জেনারেল পাকিস্তানকে ‘phenomenal partner’ বলায় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মোদির প্রশাসনকে প্রশ্ন করা হয়েছে । আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনীতি পুরোপুরি ব্যর্থ তার স্বীকৃতিও পাওয়া যাচ্ছে—বহির্বিশ্বে কেউ সরাসরি ভারতের অবস্থান সমর্থন করেনি ।
অপারেশন সিনডুরের পর পাকিস্তান–চীন–তুরস্কের কূটনৈতিক অক্ষ আরও শক্ত হয়েছে, যেখানে পাকিস্তানকে শান্তিপ্রিয় অঙ্গীকারকারী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে । অপরদিকে, ভারত গ্লোবাল নার্ভাস—যুক্তরাষ্ট্র–ভারত সম্পর্কেও যে মোদি দখলে সাবলীল কূটনীতি দেখাতে পারেননি, তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ।
ইউকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যামিতো দিল্লিতে এসে ক্ষমতা প্রদর্শন করেছেন—সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতায় ভারতকে প্রশংসা করেছেন । তবে দৃষ্টান্তমূলক কোন ‘পাক’ দোষারোপ বা তীব্র সমর্থন পাওয়া যায়নি, যা স্পষ্ট করে দেয় দেশের আন্তর্জাতিক অবস্থানেখ গর্ত রয়েছে।
বলে মনে হচ্ছে—Operation Sindoor থেকে এসেছে সামরিক বিজয়, কিন্তু কূটনৈতিকভাবে সে সাফল্য কোথাও আটকেছে। ভারত–পাকিস্তান সীমান্তে তীব্র উত্তেজনা ও মার্কিন, ব্রিটিশ পরিস্থিতির মধ্যে ঢাকা তৌড় রত ভুল দূর করতে মোদির সরকার কি এখন আন্তর্জাতিক কূটনীতির মাধ্যমে পরিস্থিতি সামলাতে পারবে?
বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য এই সংঘাত একটি ‘watch-and-learn’ মুহূর্ত—যে, সীমান্ত উত্তেজনায় কীভাবে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ভারসাম্য রাখা যায়। আমাদের সবসময় ডায়ালগই শক্তিশালী কৌশল হতে পারে—যা শুধুমাত্র অস্ত্রের প্রচণ্ডতায় নয়, বরং শব্দের সদ্ব্যবহারে অনেক দূর এগোতে পারে।