বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন যে, মাত্রই পাচার হওয়া বিপুল পরিমাণ ২৩৪ বিলিয়ন ডলার উদ্ধার করার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যের আইনজীবীদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “ব্রিটিশ সরকার এই উদ্যোগে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে” ।

Source: Kalerkantho | 14 June 2025 | Pic: Collected
দুই দিনের অভিজানে ইউনূস লন্ডনে ছিলেন—যেখানে তিনি ব্রিটিশ ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (NCA) ও আন্তর্জাতিক দুর্নীতি প্রতিরোধ সমন্বয় কেন্দ্র (ICCICC)-এর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন । NCA ইতিমধ্যে লন্ডনে আর্থমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর দুটি মিলিয়ন-ফির প্রপার্টি £১৮৫ মিলিয়ন ভ্যালুতে ফ্রিজ করেছেন ।
বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের বিবেচনায়, ২০০৯–২০২৩ সালের মধ্যে শেখ হাসিনার শাসনে এই অর্থ পাচার হয়েছে—যার বেশিরভাগ গোপন স্থাপনায় বিদেশে রাখা হয়েছে । ইউনূস বলেন, “এগুলো চুরি, তাই আন্তর্জাতিকভাবে উদ্ধারের দায়িত্বে সবাইকে চালিত হওয়া উচিত” ।
যুক্তরাজ্যের অবদান: “আইনি ও নৈতিক বাধ্যবাধকতা”
ইউনূস বলেন, “UK–কে আইনগত ও নৈতিকভাবে আমাদের পাশে দাঁড়াতে হবে”—এমন অধিকার ভিত্তিক আবেদন জানিয়েছেন তিনি । তবে লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার বৈঠক না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা পুলিশের ‘হারানো সুযোগ’ বলে ইউনূস মন্তব্য করেছেন । তিনি বলেন, “আমি জানি না হতাশ হত নাকি দুঃখিত”।
তবে বাংলাদেশি প্রতিনিধিরা ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা ও আইনক্ষেত্রে ইতিবাচক অগ্রগতি পেয়েছেন; বাকিংহাম প্যালেসে রাজা চার্লস ও বাণিজ্য সচিব জনাথন রেনল্ডসের সঙ্গেও আলাপ হয়েছে । রেনল্ডস ট্যুইট করেন, তারা “অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতা” নিয়ে সিরিয়াস আলোচনা করেছেন।
আইন ও অর্থনৈতিক পরামর্শ: পুনরুদ্ধারে স্ট্রাটেজি
বাংলাদেশ সরকারের আইন বিশেষজ্ঞ দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, অপছন্দনীয় মামলায় লেনদেনে নিম্নমাত্রার সমস্যা থাকলে financial settlements–র পথে যেতে শোনাবে । প্রধানত তদন্ত চলছে:
- ১১টি উচ্চ-প্রাধান্য মামলায় (যেমন সাইফুজ্জামান, শাসনসঙ্গী)
- £৯০ মিলিয়ন–এর উপর NCA ফ্রিজিং—সর্বপ্রথম পদক্ষেপে
- £১৮৫ মিলিয়ন জমি: সাইফুজ্জামান ও দলীয়দের—NCA বিবৃতিতে
- Omni Bridgeway–এর মতো লিজিগেশন ফান্ডারদের ইংল্যান্ডে কার্যক্রম শুরু
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর আহসান মানসুর বলেছেন, পুনরুদ্ধারের জন্য $100 মিলিয়ন–এর মতো অর্থ জোগাড়ের পরিকল্পনা আছে ।
বাংলাদেশে এই প্রভাব
- মানব কল্যানে টাকা ফিরলে—শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো উন্নয়ন আরও সমৃদ্ধ হবে।
- যৌথ অনুসন্ধান ও ফ্রিজিং–এর কারণে UK–তে স্থিত সুপ্রিম ফান্ড আরও সমর্থন পাবে।
- স্বচ্ছ ও জবাবদিহীমূলক সরকারের একটি “democratic reset”–এর প্রেক্ষাপট গড়ে ওঠে ।
ইউনূসের UK সফর শুধু একটি ব্যক্তিগত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নয়—এটা বিশ্ব দরবারে “সাধ্যের সীমানায় দৃষ্টি দেওয়ার” প্রমাণ। প্রস্তুত রয়েছে একটি স্বচ্ছতা-ভিত্তিক আর্থিক পুনর্গঠন – প্রশ্ন হচ্ছে, কিয়ার স্টারমারের অমনোযোগ কি UK–র সহযোগিতার পথেই বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে?