back to top

পুতিনের হুঁশিয়ারি: “রাশিয়ার যথেষ্ট শক্তি আছে, প্রয়োজনে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করব”

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার শুরু করা সামরিক অভিযান তাদের কাঙ্ক্ষিত ফলাফলে পৌঁছানোর মতো শক্তি ও সম্পদ মস্কোর রয়েছে। যদিও তিনি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন না হওয়ার আশাই করছেন। (সূত্র: রাষ্ট্রীয় টিভি ডকুমেন্টারি “Russia, Kremlin, Putin, 25 Years”)

Source: Somoy News| 5th May 2025 | Pic: Collected


২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ সেনা পাঠানোর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় স্থলযুদ্ধের সূচনা করেন পুতিন। এই সংঘাত এখনো চলমান এবং এটি মস্কো ও পশ্চিমাদের মধ্যে ঠান্ডা যুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ

হাজার হাজার সৈন্য হতাহত হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একে ‘রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ’ বলে উল্লেখ করে দ্রুত এর অবসান চান। তবে ক্রেমলিনের মতে, পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে ওয়াশিংটনের প্রত্যাশিত দ্রুত সমাধান বাস্তবসম্মত নয়।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক ডকুমেন্টারিতে পুতিন বলেন, “তারা আমাদের উসকানি দিতে চেয়েছিল, যাতে আমরা ভুল করি। তবে এখনো এমন অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন পড়েনি এবং আমি আশা করি তা লাগবেও না।”

পাশেই ছিল ঊনবিংশ শতাব্দীর রুশ সম্রাট আলেকজান্ডার তৃতীয়-এর ছবি, যিনি ছিলেন কট্টর রক্ষণশীল। সেখানেই পুতিন দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, “২০২২ সালে যেটা শুরু করেছি, সেটা রাশিয়ার প্রয়োজনীয় ফলাফলে শেষ করার জন্য আমাদের যথেষ্ট শক্তি ও উপায় রয়েছে।”

এদিকে, পশ্চিমা বিশ্ব ও ইউক্রেন বলছে, এটি এক ধরনের ঔপনিবেশিক আগ্রাসন, যেখানে রাশিয়া ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ এলাকা এখনো নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।

পুতিনের ভাষ্যমতে, এই যুদ্ধ মস্কো ও পশ্চিমা বিশ্বের সম্পর্কের টানাপোড়েনের এক মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া অধ্যায়। তিনি মনে করেন, ১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীর ভেঙে পড়ার পর থেকে পশ্চিমারা রাশিয়াকে অপমান করেছে এবং ন্যাটো সম্প্রসারণের মাধ্যমে রুশ আধিপত্যে হস্তক্ষেপ করেছে।

- Advertisement -spot_img
Related News
- Advertisement -spot_img
Explore More
- Advertisement -spot_img