রোববার (২৫ মে) রাতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি উল্লেখ করেন, “আমরা বড় যুদ্ধাবস্থার ভেতরে আছি। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পরে অস্থিতিশীল করার জন্য যত রকমভাবে পারে চেষ্টা চলছে। এটা থেকে আমাদের রক্ষা পেতে হবে। বিভাজন থেকে আমাদের উদ্ধার পেতে হবে। ঐকমত্য থাকতে হবে, আত্মমর্যাদাপূর্ণ জাতি হিসেবে আমরা যতটুকু দাঁড়াতে পেরেছি, এটা যেন সামনের দিকে এগিয়ে যায়।”

Source: Itefaq | 26 May 2025 | Pic: Collected
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “সবাই একসঙ্গে বসায় সাহস পেলাম। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারলে আমি অপরাধী অনুভব করব।” তিনি দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান, “অভ্যুত্থানের কারণে মহা সুযোগ পেয়েছি; ধ্বংস হয়ে যাওয়া দেশকে টেনে তোলার। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে আরেকটা যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশের ভেতরে ও বাইরে; যাতে আমরা এগোতে না পারি; যাতে সবকিছু কলাপস হয়ে যায়; যাতে গোলামিতে ফেরত যাই।”
বৈঠকে উপস্থিত রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানান। তারা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব ও মর্যাদার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দেন। আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, “আজকের বৈঠকে উপস্থিত রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের মধ্যে রাজনৈতিক আদর্শের ভিন্নতা ছিল। তবে সবাই দেশের প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা বলেছেন।”
প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন ইস্যুতে প্রস্তাব চেয়েছেন। তিনি বলেন, “সংস্কার প্রস্তাবের ওপর নির্ভর করবে এই সরকার কতদিন দায়িত্বে থাকবে। একটি শক্ত কাঠামোর ওপর দাঁড় করিয়ে নির্বাচন দেওয়ার কথাও বলেছে রাজনৈতিক দলগুলো।”
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই প্রতিশ্রুতি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। দেশের জনগণ এখন একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের অপেক্ষায়। এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ে প্রবেশ করতে পারে।