ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের আগের ঘোষিত পরিকল্পনা থেকে সরে আসার খবর আন্তর্জাতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। আগামী ১৭ থেকে ২০ জুন নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিবর্তে, দেশ দুটি এখন এই প্রক্রিয়ার জন্য শর্তসাপেক্ষ আলোচনা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Source: Somoy News | 8 June 2025 | Pic: Collected
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়াকে “নৈতিক দায়িত্ব ও রাজনৈতিক প্রয়োজন” হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। তিনি আশা করেছিলেন, ইউরোপ যদি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়, তবে সৌদি আরবও ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে আগাবে। তবে, সাম্প্রতিক কূটনৈতিক হিসাব-নিকাশের কারণে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য এখন এই পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে।
ফরাসি কর্মকর্তারা ইসরায়েলিদের জানিয়েছে, আসন্ন সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না। এর পরিবর্তে, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথ তৈরি করতে আলোচনা হবে, যার মধ্যে থাকবে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি, ফিলিস্তিনি সরকারকে ঢেলে সাজানোর প্রস্তাব, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ইত্যাদি। এই পরিবর্তনটি ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটের সমাধানে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যও এই পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হ্যামিশ ফ্যালকনার জানিয়েছেন, সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিবর্তে, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য শর্তসাপেক্ষ আলোচনা হবে। তিনি বলেন, “আমরা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য শর্তসাপেক্ষ আলোচনা চালাব, তবে সম্মেলনে কোনো ঘোষণা দেওয়া হবে না।”
এই পরিবর্তনটি ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য হতাশাজনক হতে পারে, যারা দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করে আসছে। তবে, আন্তর্জাতিক মহলের এই সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটের সমাধানে নতুন দিক নির্দেশনা দিতে পারে।
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের এই পরিবর্তিত অবস্থান আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটের সমাধানে নতুন কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সূচনা হতে পারে।