বলিউডের প্রভাবশালী অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়া সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করে জানান যে, তিনি প্রেমিক অঙ্গদ বেদী-এর সাথে সম্পর্ক শুরু করার মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন।
25 August 2025 | Pic: Collected
সামাজিক মাধ্যমে এই বিষয়টি নিয়ে যখন ব্যাপক বিদ্বেষ ও কটাক্ষ ছড়িয়ে পড়ে, তখনই তিনি নিজেই তিনি মুখ খুলে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন এবং জানান, এটা কোনো গোপন ছিল না বরং তাদের জীবনের একটি প্রাকৃতিক পরিণতি—বিয়ের আগে গর্ভধারণ হওয়া বিরল নয়। তিনি বলেন, “আমি প্রথম নারী নই, যিনি বিয়ের আগে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন। আলিয়া ভাট ও নীনা গুপ্তাও এই তালিকায় আছেন,” এবং “এই তালিকায় নিজেকে পেয়ে আমি গর্ববোধ করি।” বলা বাহুল্য, সামাজিক মানসিকতার চক্রে বলা হয়, মানুষ অন্যের ব্যক্তিগত জীবন নির্দেশ দেয়, কখন বিয়ে করবেন বা সন্তান নেবেন—তবে নেহা দৃঢ়ভাবে জানান, “সে সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে হয়, কারো নির্দেশে নয়।”
তিনি ওই সাক্ষাৎকারে আরও বলেন যে, গর্ভাবস্থা একটি অসাধারণ অনুভূতি এবং সেটিই যথেষ্ট। তিনি জানান, শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে যেই সময় তিনি জানতে পারেন তিনি অন্তঃসত্ত্বা, তখন থেকেই তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন এবং সেরকমই বিয়ে করেন। বিয়ের ছয় মাসের মধ্যেই তারা স্বাভাবিকভাবেই কন্যাসন্তান “মেহর”-র জন্ম গ্রহণ করেন। তবে এই গর্ভধারণ-বিয়েবিরোধী সংস্কৃতি বা সামাজিক ট্যাবুক তাকে থামাতে পারেনি। ফলে তিনি সব এডর্স-ভালোবাসা-আলোর মধ্য দিয়ে গেছেন এবং এখন গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করেন যে, জীবন নিয়ে নিজের পছন্দ, তার পরিবার এবং একটি নতুন জীবন—এগুলো সবই তার নিজের।
নেহা বলেন, সে সময় সামাজিক মিডিয়ায় তাকে নানা কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে এবং “মেয়ে হয়েছিস, বিয়ের আগে” জাতীয় মন্তব্য তাকে অবাক করেছিল। কিন্তু তিনি এটাও বলেন যে, এই কোনো অপরাধ নয়, এটা কোনো ভুল কেউ করেনি—এটা ছিল এক স্বাভাবিক ও জীবনের সত্য ঘটনা এবং সেই জীবনই তাকে গঠন করেছে। তিনি “আলিয়া ও নীনা”-র সাথে এক সারিতে এই তালিকায় থাকতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান ভাবছেন। সেইসঙ্গে বলছেন—“যে যত সাহস নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই হওয়া উচিত”—কারণ পারিবারিক সম্পর্ক, ভালোবাসা, গর্ভধারণ প্রত্যেকই ব্যক্তির নিজস্ব অধিকার। আর সে অধিকারই তিনি স্বাধীনভাবে ব্যবহার করেছেন,—এখানেই সংবাদটির মর্ম নিহিত।