ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় সবাই—এবং সেই দুর্ঘটনার ব্যক্তিগত অভিঘাতে ভেঙে পড়েছেন বলিউড অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি। গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মাথায় বিধ্বস্ত হয় এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার বোয়িং ৭৮৭ বিমানটি। এতে ২৪২ আরোহীর মধ্যে মাত্র একজন বেঁচে আছেন বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

Source: channel24bd | 13 June 2025 | Pic: Collected
বিমান দুর্ঘটনার খবরেই কেঁপে উঠেছে গোটা ভারত, এমনকি শোকের ছায়া পড়েছে বলিউডেও। তবে এই ঘটনায় বিক্রান্ত ম্যাসির জন্য বিষয়টি শুধু পেশাদার সহানুভূতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়—এ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তার প্রিয় পারিবারিক বন্ধু, বিমানের সহকারী পাইলট ক্লাইভ কুন্দের।
বিমানের সহকারী পাইলট ক্লাইভ কুন্দের ছিলেন বিক্রান্ত ম্যাসির ‘চাচা’ ক্লিফোর্ড কুন্দের ছেলে। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে বিক্রান্ত লেখেন, “আহমেদাবাদের মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের পরিবার ও প্রিয়জনদের কথা ভেবে দুমড়ে-মুচড়ে যাচ্ছে আমার মন।”
তিনি আরও জানান, “এই শোক আমার জন্য আরও বেশি যন্ত্রণার কারণ, কারণ এটি ব্যক্তিগত। দুর্ঘটনায় আমার চাচা ক্লিফোর্ড কুন্দের ছেলে, ক্লাইভ কুন্দের প্রাণ হারিয়েছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, তিনি বিমানের সহকারী পাইলট ছিলেন। ঈশ্বর আমাদের সবাইকে শক্তি দিন।”
ভক্তদের অনেকেই বিক্রান্তের এই বার্তার পর ধরে নেন—ক্লাইভ কুন্দের হয়তো তার রক্তসম্পর্কীয় ভাই। তবে এই বিভ্রান্তি দূর করতে অভিনেতা শুক্রবার (১৩ জুন) আবারও ইনস্টাগ্রামে একটি ব্যাখ্যামূলক স্টোরি পোস্ট করেন, যেখানে জানান, ক্লাইভ ছিলেন তার ঘনিষ্ঠ পারিবারিক বন্ধু, কোনো রক্তের সম্পর্ক নেই।
বিক্রান্ত লেখেন, “ভুল প্রতিবেদন রোধে বলছি—আমার এবং ক্লাইভ কুন্দের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক নেই। তিনি আমার চাচার ছেলে, তবে আমাদের সম্পর্ক পারিবারিক বন্ধুত্বের। আমি তাঁর আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।”
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখরন পর্যন্ত সবাই শোক জানিয়েছেন। বলিউডের অনেক তারকা শোক প্রকাশ করেছেন এই দুর্ঘটনার ঘটনায়, তবে বিক্রান্ত ম্যাসির ব্যক্তিগত ক্ষতি বিষয়টিকে আরও হৃদয়গ্রাহী করে তুলেছে।
বিমান দুর্ঘটনার মতো ভয়াবহ ঘটনা শুধু এক ব্যক্তির ক্ষতির গল্প নয়—এটি একটি জাতির মন কাঁপানো মুহূর্ত। বিক্রান্ত ম্যাসির মতো যারা কাছের মানুষ হারিয়েছেন, তাদের শোক আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের অনিশ্চয়তা কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে।
আপনার মতামত কী? এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন? নিচে মন্তব্যে জানিয়ে দিন।