যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর সম্প্রতি ভারত-ভিত্তিক কিছু ট্রাভেল এজেন্সির মালিক, নির্বাহী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা সচেতনভাবে অবৈধ অভিবাসনে সহায়তা করেছে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে জানান, “আমরা অবৈধ অভিবাসন ও মানব পাচার প্রতিরোধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই নিষেধাজ্ঞা তারই অংশ।

Source: DW | 21 May 2025 | Pic: Collected
এই নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র ভিসা প্রার্থীদের জন্য নয়; এটি ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রামের আওতায় থাকা ব্যক্তিদের জন্যও প্রযোজ্য। অর্থাৎ, যেসব ব্যক্তি সাধারণত ভিসা ছাড়াই ৯০ দিন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে পারেন, তারাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ দিল্লি দূতাবাস তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক করে বলেছে, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করলে তা অবৈধ হবে এবং এর ফলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও বহিষ্কার।
এই পদক্ষেপটি যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসনের অভিবাসন নীতির অংশ, যা অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে কঠোরতা অবলম্বন করছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে এই নীতিগুলো আরও কঠোর হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ ও মানব পাচার প্রতিরোধ।
যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ ভারতীয় ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর জন্য একটি সতর্কবার্তা। যারা অবৈধ অভিবাসনে সহায়তা করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভারতীয় নাগরিকদের উচিত ভিসার নিয়ম-কানুন মেনে চলা এবং অবৈধ অভিবাসন থেকে বিরত থাকা।