৭ মে ভোরে ভারতের ‘অপারেশন সিন্ধুর’ নামক সামরিক অভিযানে পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।

Source: Ittefaq | 8 May 2025 | Pic: Collected
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, এই হামলায় অন্তত ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৫৭ জন আহত হয়েছেন। ভারতীয় বাহিনী দাবি করে, তারা জইশ-ই-মোহাম্মদ ও লস্কর-ই-তইয়্যবার সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে, তবে পাকিস্তান বলছে, হামলাগুলো বেসামরিক স্থাপনা যেমন মসজিদ ও স্কুলে হয়েছে ।
এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান দাবি করে, তারা পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে এবং সীমান্তে পাল্টা গোলাবর্ষণ চালিয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করা হয়নি। উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন হিন্দু পর্যটক নিহত হন, যার প্রতিশোধ হিসেবে ভারত এই অভিযান চালায় ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এই হামলাকে “কাপুরুষোচিত” বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “পাকিস্তান আত্মরক্ষার অধিকার রাখে এবং প্রয়োজনে তা প্রয়োগ করবে।” বিশ্ব নেতারা, যেমন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন ও তুরস্ক, উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন, তবে উত্তেজনা কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না ।
এই ঘটনার ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি উভয় পক্ষ সংযম না দেখায়, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এছাড়া, এই উত্তেজনার প্রভাব বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপরও পড়তে পারে, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত উভয় দেশকে সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে উৎসাহিত করা, যাতে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।