সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসূদ পেজেশকিয়ানকে ফোনে বলেছেন, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের সঙ্গে নতুন সংঘর্ষে টেনে নিয়ে যেতে চাচ্ছে, ফলে জেলায় আরও আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। এই সতর্কবার্তাটি জানানো হলো এক ফোনালাপে ।

Source: tehrantimes | 16 June 2025 | Pic: Collected
সৌদি নেতৃত্ব এই সংঘর্ষকে চিত্রিত করেছেন শুধুমাত্র ইসরায়েল-ইরান দ্বন্দ্ব নয়, বরং তারা তাকে “মাঝে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকা ঢোকানোদের পরিকল্পনা” হিসেবে দাগিয়েছেন—যার জন্য ইসরায়েল চেষ্টা চালাচ্ছে আমেরিকার সরাসরি মদদ । মি. বিন সালমান বলেছেন, “সৌদি আরব তার ভাই ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে, আর পুরো ইসলামি বিশ্ব একতাবদ্ধ” ।
পরিস্থিতি ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
- এই ফোনালাপ সেখানে এসেছে যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহিংসা তৃতীয় দিন পেরিয়েছে ।
- এর আগেও সৌদি প্রতিনিধিরা ইরানকে সতর্ক করেছিল যে, যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক আলোচনা ব্যর্থ হলে ইসরায়েলই অঞ্চলজুড়ে সংঘর্ষের সূচনা করতে পারে ।
- তবে এখন সৌদি রাজপরিবার এই অবস্থান আরও স্পষ্ট করেছে—“ইউএসকে সরাসরি এই সংঘর্ষে টানার চক্রান্ত দেখা দিয়েছে” ।
বিশ্ব প্রতিক্রিয়া – উদ্বেগ ও পরামর্শ
- বিশ্ব নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা এই সংঘর্ষে সরাসরি যুক্ত হচ্ছে না, তবে ইসরায়েলের প্রতিহিংসা জোরালো হলে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি দ্বায়িত্ব থাকবে ।
- ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলি—জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য—দিয়ে দিয়েছে গভীর উদ্বেগ ও তাত্ক্ষণিক কূটনৈতিক সমাধানে আন্তর্জাতিক আহ্বান ।
- একই সুরে ওঠে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি, তিনি বলেন: “ইসরায়েল চাইছে সংঘর্ষকে ইউএসের পতাকা তলায় প্রবাহিত করতে” ।
মানবিক ও আঞ্চলিক প্রভাব
- ইরান ও ইসরায়েলের বাগযুদ্ধ জোর গেইল শুরু করেছে—এখনো পর্যন্ত দুই পক্ষ মিলিয়ে সপ্তাহে প্রায় ৪০০ মৃত্যুর সংখ্যা ছুঁই ছুঁই করছে ।
- একইসাথে, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তেলের দাম বেড়েছে, আর গালফশের বাজারে শেয়ার পতন দেখা দিচ্ছে ।
- এটি শুধু ভূ-রাজনৈতিক দুশ্চিন্তা নয়—মানুষের জীবন ও অর্থনীতির প্রতি প্রভাব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে প্রসারিত অনিশ্চয়তার মধ্যে ।