আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৯ মাস পর, সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইট টিজি ৩৪০-এ ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।

Source: Ittefaq | 8 May 2025 | Pic: Collected
পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ইমিগ্রেশন, এইসএসআইএ শিফট১’এর বিশেষ পুলিশ সুপার ইত্তেফাক অনলাইনকে জানান, চিকিৎসার উদ্দেশে তিনি বিদেশ গেছেন। তার সঙ্গে ছিলেন ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ ও শ্যালক ডা. নওশাদ খান।
আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রয়েছে, যা ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় দায়ের হয়। এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও ওবায়দুল কাদেরের নামও উল্লেখ রয়েছে। তবে মামলার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
আবদুল হামিদের বিদেশযাত্রা রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও চলমান মামলার প্রেক্ষাপটে তার এই পদক্ষেপ নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, দেশের চিকিৎসকদের পরামর্শেই তিনি বিদেশে গেছেন।
এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা মতামত প্রকাশ পাচ্ছে। কেউ কেউ এটিকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ বলছেন, এটি শুধুমাত্র চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া সিদ্ধান্ত। তবে সত্যতা জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে ভবিষ্যতের জন্য।
সাবেক রাষ্ট্রপতির এই বিদেশযাত্রা দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এর প্রভাব কতটা গভীর হবে, তা সময়ই বলে দেবে।