মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন ‘গোল্ডেন ডোম’ নামক একটি উচ্চ-প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরিকল্পনা। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রকে হাইপারসনিক, ব্যালিস্টিক এবং মহাকাশ থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন আকাশপথের হুমকি থেকে রক্ষা করা। প্রকল্পটির প্রাথমিক বাজেট ধরা হয়েছে ১৭৫ বিলিয়ন ডলার, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ৫৪২ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে ।

Source: Ittefaq. | 22 May 2025 | Pic: Collected
‘গোল্ডেন ডোম’ প্রকল্পে মহাকাশভিত্তিক সেন্সর, ইন্টারসেপ্টর এবং স্যাটেলাইটের সমন্বয়ে একটি বহুস্তরবিশিষ্ট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। এই সিস্টেমটি ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম’ থেকে অনুপ্রাণিত হলেও প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেক বেশি উন্নত এবং বিস্তৃত হবে ।
চীন এই প্রকল্পকে মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের নীতির পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছে এবং এতে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে । রাশিয়া এই প্রকল্পের বিষয়ে সংযত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ ভবিষ্যতে কৌশলগত স্থিতিশীলতা পুনঃস্থাপনে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করবে ।
‘গোল্ডেন ডোম’ প্রকল্পের বিশাল বাজেট এবং প্রযুক্তিগত জটিলতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেও বিতর্ক চলছে। কংগ্রেসনাল বাজেট অফিসের মতে, প্রকল্পটির ব্যয় ২০ বছরে ৫৪২ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হতে পারে । এছাড়া, প্রকল্পটির বাস্তবায়ন সময়সীমা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিরক্ষা উদ্যোগ বৈশ্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে, যা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব রাজনীতিতে শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা থাকায়, বাংলাদেশের কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা নীতিতে এই প্রকল্পের প্রভাব বিবেচনা করা প্রয়োজন।
‘গোল্ডেন ডোম’ প্রকল্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কৌশলে একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। তবে এর বাস্তবায়ন, অর্থায়ন এবং আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া কেমন হবে, তা সময়ই বলে দেবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও এই পরিবর্তনগুলোর প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।