মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতির ফলে মিয়ামির রিয়েল এস্টেট বাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমে গেছে। এতে ফ্লোরিডার অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হুমকির মুখে পড়েছে।

Source: Economic Times | 8 May 2025 | Pic: Collected
Redfin-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে মিয়ামিতে বাড়ি বিক্রি গত বছরের তুলনায় ১৭% কমেছে, যা জাতীয় গড়ের ছয় গুণ। বাড়িগুলো এখন গড়ে ১০০ দিন বাজারে থাকছে, যা আগের তুলনায় দ্বিগুণ। Zillow Rentals-এর তথ্য অনুযায়ী, এক বেডরুমের অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া গত বছরে ১৬% কমেছে।
স্থানীয় রিয়েল এস্টেট এজেন্ট মারুজা গিল বলেন, “অনেকেই এখন বাড়ি কিনতে বা ভাড়া নিতে ভয় পাচ্ছেন। তারা বলছেন, ‘আমি কীভাবে কিনব বা ভাড়া নেব, যদি না জানি আগামী সপ্তাহে বা বছরে আমার ভিসা বাড়ানো হবে কিনা?'”
ট্রাম্প প্রশাসন কিউবা, হাইতি ও ভেনেজুয়েলার মতো দেশগুলোর অভিবাসীদের জন্য আশ্রয় ও অস্থায়ী সুরক্ষা কর্মসূচি বাতিল করেছে। ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডেসান্টিস ফেব্রুয়ারিতে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন পাস করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে অবৈধ প্রবেশকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা এবং মৃত্যুদণ্ডের বিধান।
ফ্লোরিডার অর্থনীতিতে রিয়েল এস্টেটের ভূমিকা বিশাল। ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব রিয়েলটর্সের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের মোট অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রায় এক-চতুর্থাংশ রিয়েল এস্টেট থেকে আসে। দক্ষিণ ফ্লোরিডায় প্রায় ১১,০০০ রিয়েল এস্টেট এজেন্ট রয়েছেন, যা লস অ্যাঞ্জেলেস ও নিউ ইয়র্কের তুলনায় অনেক বেশি।
OneWorld Properties-এর সিইও পেগি ওলিন বলেন, “বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এখন অপেক্ষা করছেন এবং দেখছেন পরিস্থিতি কীভাবে unfolds হয়। আমাদের ফরাসি ও মেক্সিকান ক্লায়েন্টরা সম্প্রতি চুক্তি থেকে পিছিয়ে গেছেন অভিবাসন নীতির অনিশ্চয়তার কারণে।”
ট্রাম্প প্রশাসন ফেডারেল হাউজিং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FHA) ঋণগুলো শুধুমাত্র মার্কিন নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য সীমাবদ্ধ করেছে, যা প্রথমবারের বাড়ি ক্রেতাদের জন্য একটি বড় বাধা।
এই অভিবাসন নীতির ফলে মিয়ামির রিয়েল এস্টেট বাজারে বিদেশি বিনিয়োগ কমে গেছে, যা ফ্লোরিডার অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ফ্লোরিডার অর্থনীতি আরও চাপে পড়বে।