বরিশালের উজিরপুরে দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষা ও রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা বিএনপি নেতা মুস্তাফিজুর রহমান ‘টুকু’ মজুমদার এর মৃত্যুর খবর পেয়েই দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একান্তভাবে শোক প্রকাশ করেন ।
টুকু সাহেব ছিলেন স্থানীয় রাজনীতির একজন স্তম্ভ—শোলক ভিক্টোরিয়া স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক, শেরেবাংলা কলেজের সাবেক ভিপি, এবং উজিরপুর থানার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, তিনি শিক্ষা ও সংগঠনের মিশেলে এলাকার পরিপ্রেক্ষিত উজ্জ্বল করেছিলেন ।

Source: Somoy News | 9 June 2025 | Pic: Collected
মির্জা ফখরুল বলেন, “তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের অনুগামী ছিলেন, এবং স্থানীয় বিএনপিকে সুসংগঠিত করে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান ছিল অমুল্য।” তার আদর্শ, নেতৃত্ব ও ত্যাগ এখনো দলের সদস্যদের মনে প্রেরণা হয়ে আছে—এমনি একটি শব্দ ভর করে ফখরুলের শোক বার্তা।
শিক্ষকের পরিচিতি থেকে রাজনীতikte যাত্রা—টুকুর বহুমুখী ভূমিকা ছিল স্থানীয় যুবকদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত, যা আজ গভীরভাবে শূন্য হয়ে গেছে ।
ফখরুল আরও মনে করিয়ে দেন, “তার সাহস ও দৃঢ়তা বিএনপি আন্দোলনে নতুন উদ্দীপনা এনে দিয়েছে”—বিশেষত চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর ভূমিকা অনস্বচ্ছল ।
এক পক্ষের জন্য টুকু ছিলেন গূঢ় শিক্ষা-প্রেমী শিক্ষক। আরেক দৃষ্টিতে, রাজনীতির অঙ্গনে তিনি ছিলেন নেতৃত্ব ও সাহসের প্রতীক।
শোকবার্তায় ফখরুল পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান—“রাব্বুল আলামীন তাঁকে জান্নাত নসীব হোক এবং সবাইকে এই দুঃসময় সামলে উঠার শক্তি দিন।”
এই শোকস্তব্ধ সময়ে বক্তৃতার মূল বক্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে—“ভুল না হয়ে ব্যক্তি ও আদর্শকে শ্রদ্ধা জানান; টুকুর জীবন যে আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করেছে, সেটি যেন কখনো হারিয়ে না যায়।”
এক শিক্ষক, এক রাজনীতিবিদ ও এক আদর্শবাদীর সংমিশ্রণ—টুকুর মৃত্যু শুধু তার পরিবার নয়, পুরো সমাজের জন্য একটি শূন্যতা। মির্জা ফখরুলের শোকপূর্ণ ভাষণ যেন এক আহ্বান—“বাংলাদেশের রাজনীতি ও শিক্ষাক্ষেত্রে সৎ ও দৃঢ় মানুষ হারানো চলছে, তাদের বদলে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব।”