যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) চার বিচারকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন। এই পদক্ষেপটি আইসিসির সেইসব তদন্তের প্রতিক্রিয়া হিসেবে নেওয়া হয়েছে, যেখানে মার্কিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

Source: The Guardian | 6 June 2025 | Pic: Collected
রুবিওর মতে, আইসিসির এই বিচারকরা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে “অবৈধ ও ভিত্তিহীন” পদক্ষেপ নিয়েছেন। বিশেষ করে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি উল্লেখযোগ্য।
আইসিসি এই নিষেধাজ্ঞাকে তাদের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতার ওপর আঘাত হিসেবে দেখছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো, যেমন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের প্রতি হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে।
বাংলাদেশ আইসিসির সদস্য রাষ্ট্র হওয়ায়, এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার ব্যবস্থার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, রোহিঙ্গা সংকটের মতো বিষয়গুলোতে আইসিসির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত এই পরিস্থিতিতে সংহতি প্রকাশ করা এবং আইসিসির স্বাধীনতা রক্ষা করা।